চাঁদপুরে লকডাউন অমান্য ও ভোক্তা অধিকার আইন লঙ্ঘণের অপরাধে ভ্রাম্যমাণ আদালতে ৯টি মামলায় ১৩ হাজার ৫শ টাকা অর্থদন্ড আদায় করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকাল ৭টা থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ইমরান মাহমুদ ডালিম এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। এসময় বাবুরহাট এলাকায় সরকারি বিধিনিষেধ ও স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করে ভেতর একের অধিক লোক বসিয়ে খাবার পরিবেশন করায় এবং স্বাস্থ্যবিধি ও সরকারি আদেশ লঙ্ঘনের দায়ে তৃপ্তি হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টকে ১০ হাজার টাকা অর্থদন্ড প্রদান করা হয়। এছাড়াও স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন এবং সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়ন, একইসাথে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার পাশাপাশি হোটেল-রেস্তোঁরাতে সরকারি নির্দেশনা প্রতিপালন নিশ্চিতসহ পরিচ্ছন্নতা পর্যবেক্ষণ করা হয়। এছাড়া শহরের মহামায়া, বাবুরহাট, ওয়ারল্যাস মোড়, কালীবাড়ি, পালবাজার, পুরানবাজার ব্রিজ ও মোলহেড এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার সময় লকডাউন অমান্য করায় আরো ৮টি মামলায় ৩ হাজার ৫শ টাকা অর্থদন্ড আদায় করা হয়। এসময় জনসাধারণকে লকডাউন পালন ও স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে উদ্বুদ্ধ করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার সময় সর্বাত্মক সহযোগিতায় ছিলেন বাংলাদেশ আনসার ব্যাটেলিয়ন ও ট্রাফিক পুলিশ, চাঁদপুরের সদস্যবৃন্দ।
দৈনিক শপথকে সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ মাজিস্ট্রেট ইমরান মাহমুদ ডালিম বলেন, সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক ও জেলা প্রশাসক স্যারের দিকনির্দেশনা অনুযায়ী লকডাউন বাস্তবতায়নে আমাদের এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হচ্ছে।
ক্যপশান: চাঁদপুর বাবুরহাট তৃপ্তিহোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টের ভেতর একের অধিক লোককে বসিয়ে খাবার পরিবেশন করায় এবং স্বাস্থ্যবিধি ও সরকারি আদেশ লঙ্ঘনের দায়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানা করছেন চাঁদপুর জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইমরান মাহমুদ ডালিম। ছবি- ইকবাল বাহার।
ইকবাল বাহার