কবির হোসেন মিজি:

চাঁদপুরে দিনের পর দিন বেড়ে চলছে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। ইতোমধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে আড়াইশ। প্রতিদিনই চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে কম বেশি করোনা আক্রান্ত এবং সন্দেহ জনক রোগী ভর্তি হচ্ছে। এজন্য করোনা, সংক্রমনের মারাত্মক ঝুঁকিতে রয়েছে চাঁদপুর।
জানাযায়, গত দু,দিন ধরে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের নির্ধারিত আইসোলেশন ওয়ার্ড রোগীতে পরিপূর্ন হয়ে বর্তমানে হাসপাতালের সাধারণ রোগী ভর্তি থাকা পুরুষ ওয়ার্ডকেও আইসোলেশন বিভাগ হিসেবে নির্ধারন করা হয়েছে। করোনা আক্রান্ত সন্দেহজনক রোগীও ভর্তি রাখা হয়েছে ওই ওয়ার্ডে। ৪ জুন বৃহস্পতিবার দিনে পুরুষ ওয়ার্ডে তিন জন রোগীকে ভর্তি করা হয়।
খবর নিয়ে জানাযায়, হাসপাতালের আলাদা একটি ভবনে যে আইসোলেশ ওয়ার্ড রয়েছে, সেখানে সর্বমোট ১২ টি বেড রয়েছে। বেড গুলো দুরত্ব বজায় রাখার কারনে তেমন বেশি বেড স্থাপন করা যায়নি। এ কারনে দিন, দিন রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকায় হাসপাতালের ২য় তলার পুরুষ ওয়ার্ডকেও আইসোলেশন ওয়ার্ড হিসেবে নির্ধারণ করা হয়। বৃহস্পতিবার দিন নতুন ভর্তি হওয়া রোগীদের মধ্যে ৩ জন রোগীকে সেখানে ভর্তি দেয়া হয়েছে।
পূর্বের আইসোলেশন ওয়ার্ডে গত ৩ জুন থেকে সর্বমোট ১১ জন রোগী ভর্তি রয়েছে। এরমধ্যে ৩ জন রোগীর করোনা পজেটিভ বলে জানা গেছে। আর বাকি ৯ জনের মধ্যে জনের রিপোর্ট অপেক্ষামান। গত ২৪ ঘন্টায় রিলিজ হয়েছে ৬ জন রোগী। আর ২৪ ঘন্টায় নতুন ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৫ জন। বৃহস্পতিবার দিন হাসপাতালের তিন তলা ভবনের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায়, হাসপাতালের মূল ভবনের ২য় তলার পুরুষ ওয়ার্ডে করোনা আক্রান্ত সন্দেহজনক রোগীদের ভর্তি করানো হয়।
এছাড়া হাসপাতালের ৩য় তলার শিশু ওয়ার্ডকে দুটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। শিশু ওয়ার্ডের পশ্চিম পাশে ভর্তি রাখা হচ্ছে পুরুষ রোগীদের আর পূর্ব পাশে ইউনিটকে শিশু বিভাগ হিসেবেই ব্যবহার করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডাঃ আসিবুল আহসান চৌধুরীর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, এখন দিন, দিনই করোনা সংক্রমনের রোগী সংখ্যা বাড়ছে। আবার অধিকাংশ রোগীকে সন্দেজনক ভাবে আইসোলেশনে ভর্তি রাখা হচ্ছে। একারনে রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায়, হাসপাতালের ২ তলার পুরুষ ওয়ার্ডকে আমরা আইসোলেশ ওয়ার্ড হিসেবে নির্ধারিত করেছি। এখন থেকে সেখানেও করোনা আক্রান্ত এবং সন্দেহ জনক রোগীদের ভর্তি রাখা হবে।
সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র জানায়, সবশেষ গত বৃহস্পতিবার নতুন আক্রান্তের রিপোর্ট এসেছে ১৯টি। সর্ব
মোট আক্রান্ত হয় ২৫৫জন।