এইচ.এম নিজাম:
চাঁদপুরে আবারো করোনা সংক্রমণ ঊর্ধ্বগতিতে রয়েছে। প্রতিদিন বাড়ছে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। জেলায় গত ২৪ ঘন্টায় ৮৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। নমুনার বিপরীতে শনাক্তের হার প্রায় ৩৭ শতাংশ। করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ও মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করতে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়েছে। এসময় জনসচেতনতার পাশাপাশি মাস্ক না পরে রাস্তায় বের হলেই পথচারীদেরকে আর্থিক জরিমানা গুনতে হচ্ছে।
গত ২২ জানুয়ারি সপ্তাহব্যাপী এই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা শুরু হয়। গত দুই দিনে চাঁদপুর শহরসহ সকল উপজেলায় শতাধিক ব্যক্তিকে মাস্ক না পরায় আর্থিক জরিমানা করা হয়েছে। তবে অভিযান চলাকালে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদেরকে একই সাথে কঠোর এবং মানবিক হতে দেখা গেছে। যে সকল পথচারীরা আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল কিংবা গরীব রিক্সচালক, দিনমজুর তাদের বিনামূল্যে উন্নত মাস্ক প্রদান করতে দেখা যায়। জেলা প্রশাসনের এমন কঠোর এবং মানবিকতাকে সাধুবাদ জানাচ্ছে সাধারণ মানুষ।
তারই ধারাবাহিকতায় গতকাল রোববার নির্বাহী ম্যাজিট্রেট ইবনে আল জায়েদ হোসেন শহরের কালীবাড়ি শপথ চত্বরে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনের লক্ষ্যে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন। এসময় ৯টি মামলায় ৬৫০ টাকা অর্থদন্ড আদায় করা হয়। একই সাথে পথচারী মাঝে বিনামূল্যে মাস্ক বিতরণ করা হয়।
চাঁদপুর শহরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন চৌধুরী জানান, আমাদের মূল উদ্দেশ্য আর্থিক জরিমানা আদায় করা নয়। আমাদের প্রধান কাজ হচ্ছে, জনসাধারণকে সচেতন করা। অহেতুক যারা মাস্ক পড়ছে না কিংবা বিধিনিষেধের তোয়াক্কা করছে না। কেবল তাদেরকেই ভ্রাম্যমাণ আদালতের আওতায় এনে আর্থিক জরিমানা করা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে কোন প্রকার অজুহাত গ্রহণযোগ্য হবে না।
মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন চৌধুরী আরো বলেন, ভ্রাম্যমাণ আদালতের পাশাপাশি জনসাধারণকে সচেতনতা করার লক্ষ্যে আমরা প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছি। সবাই যাতে মাস্ক পরিধান করে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে সেজন্য মাস্ক বিতরণ করা হচ্ছে। এখন থেকে প্রতিদিনই শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হবে বলেও জানান তিনি।
এদিকে চাঁদপুর সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ঘন্টায় চাঁদপুরে ৮৮ জনের মধ্যে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এতে আক্রান্তের হার প্রায় ৩৭ শতাংশ। জেলায় বর্তমানে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১৫ হাজার ৬শ ৮০জন। এর মধ্যে মৃতের সংখ্যা ২শ ৪১জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছে ১৫হাজার ৫০জন।