দৈনিক শপথ রিপোর্ট:
চাঁদপুরে অকার্যকর সমবায় সমিতির সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর তাই সমিতির সাধারণ সদস্যরা তাদের গচ্ছিত আমানত ফেরত পাচেছ না। এতে সমবায় সমিতিগুলো আস্থা হারাচ্ছে সাধারণ মানুষের। সংশ্লিষ্ট দপ্তর বলছে আমানত ফেরত পেতে ক্ষতিগ্রস্থ সদস্যদের আইনি পরামর্শ দেয়া হয়। যদিও অনেক সময় সমিতি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় টাকা পেতে বিলম্ব হচ্ছে।
চাঁদপুর সদর উপজেলার কামরাঙ্গা গ্রামের স্কুল মাস্টার নুরুল ইসলাম । তিনি জমি বিক্রি ও চাকুরি টাকা থেকে সঞ্চয় করে চাঁদপুর উন্নয়ন বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেড এ আমানত রাখেন। মাসে মাসে মাসে কিছু আয় হবে এমন আশায়। বছর তিনেক ভালো চললেও হঠাৎ করে সমিতি বন্ধ করে নির্বাহী কমিটির সদস্যরা আত্মগোপনে চলে যায়। এরপর গত চার বছর অনেক চেষ্টা করেও টাকা বুঝে পাননি তিনি। ঋণ গ্রস্থ হয়ে এখন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন এই স্কুল মাস্টার। শুধু নুরুল ইসলাম নন জেলার আরো এমন হাজার হাজার ভুক্তভোগী রয়েছেন। তারা সমতি কর্তৃপক্ষের কাছে ঘুরতে ঘুরতে ক্লান্ত।
চাঁদপুরে গত দশ বছরে অন্তত দুইশ সমবায় সমিতির নিবন্ধন বাতিল করেছে কর্তৃপক্ষ। বর্তমানে অকার্যকর সমিতি রয়েছে ৯৮১টি। সমবায় সমিতির জৌলুশ হারানো প্রধান কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে পরিচালনা পর্ষদের অসততা ও অদক্ষতা। যেমনটি জানালেন অসফল এ সমবায়ি জাহিদুল হক মিলন।
সমিতিগুলোর অদক্ষতার কথা স্বীকার করে চাঁদপুর জেলা সমবায় কর্মকর্তা মোহাম্মদ মুজিব-উর-রহমান খান জানালেন, গ্রাহকের টাকা ফেরতে পেতে আইনী পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। সমস্যা থেকে উত্তোরণের চেষ্টা করা হচ্ছে।
চাঁদপুরে বর্তমানে ১৮শ ৭৩টি সমবায় সমিতি রয়েছে। এর অর্ধেকেরও বেশি অকার্যকর। যদিও সঠিক পরিসংখ্যান করলে দেখা যাবে স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারছে অল্প কিছু সংখ্যক সমবায় সমিতি।