বিল্লাল ঢালী:
৯ মার্চ চাঁদপুরে প্রথম করণা রোগী শনাক্ত হয়। এরপর থেকে দিন দিন জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলছে। ইতোমধ্যে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় দুইশ ছুঁই ছুঁই। চাঁদপুর সিভিল সার্জনের কার্যালয় সূত্রে জানায় জেলা গত ২৪ঘন্টায় নতুন করে আক্রান্ত হেেয়ছে ১১জন। এ নিয়ে মোট আক্রান্ত হয়েছে ১৯৫জন। জেলার মধ্যে চাঁদপুর সদর উপজেলা করোনা আক্রান্তের বড় জোন। শুধু সদর উপজেলাতেই এ পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ১০৯ জন। যেখানে চাঁদপুর জেলা আক্রান্তের সংখ্যা মোট ১৯৫ জন। এর্পন্ত নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ১৮১৬টি। এরমধ্যে রিপোর্ট এসেছে ১৫শ ৪৯টি। পজেটিভ ১৯৫টি (দুইজনের দ্বিতীয়বার পজেটিভ এসেছে)। আর নেগেটিভ এসেছে ১৩শ ৭৯জনের।
চাঁদপুর জেলা প্রশাসন ও সিভিল সার্জন অফিসের তথ্য মতে, মোট করোনা আক্রান্ত রোগী ১৯৫ জন। চাঁদপুর সদর উপজেলা ১০৯ জন, মতলব উত্তরে ০৯, মতলব দক্ষিণে ৮জন, ফরিদগঞ্জে ৩৫ জন, হাইমচরের চারজন, হাজীগঞ্জে ১১ জন, শাহরাস্তিতে ১১ এবং কচুয়া উপজেলা ০৯জন। এদের মধ্যে ঢাকা থেকে আগত ৪জন, লক্ষ্মীপুর থেকে আগত দইজন, নারায়নগঞ্জ থেকে আগত ১জন, কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হতে প্রাপ্ত একজন এবং মতলব আইসিডিডিআরবি থেকে প্রাপ্ত ৭জন। এপর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৩৯জন।
চাঁদপুর জেলায় ৩১ মে পর্যন্ত বাড়িতে কোয়ারেন্টাইন ছিল তিন হাজার ৬৬৩ জন। এদের মধ্যে ছাড়া পেয়েছেন ৩হাজার ৬শ ৪৪জন। বর্তমানে ১৯জন হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন। প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারান্টিনে আছে ৯জন। এদের তিনজন ভাইরাসে আক্রান্ত তিনজন আর সন্দেহজনক আছেণ ৬জন।
জেলায় মোট চিকিৎসা নিয়েছেন ১৩০জন। এরমধ্যে হাসপাতালে ৩জন আর ঢাকায় রেফার করা হয়েছে ৪জন। হোম আইশোলেশনে আছে ১২৩জন।
চাঁদপুরে এ পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়ে ১৫ জন মারা গেছেন। সদরে পাঁচজন, ফরিদগঞ্জে তিনজন, কচুয়ায় দুইজন, মতলব উত্তরের দুইজন, শাহরাস্তিতে একজন এবং হাজীগঞ্জে দুইজন।
করোনাভাইরাস মোকাবেলায় চাঁদপুরে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছিল। সরকারি ভাবে আটটি এবং বেসরকারিভাবে ২০ টি চিকিৎসাকেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে। রোগীদের জন্য ৭৭৩টি বেড প্রস্তুত আছে। এরমধ্যে সরকারিভাবে ২৪৩টি এবং বেসরকারীভাবে ২৩০ টি বেড প্রস্তুত আছে।
করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের চিকিৎসায় প্রস্তুত আছে সরকারিভাবে ৭৫ এবং বেসরকারিভাবে ২৩ টি বেড। ভাইরাস মোকাবেলায় জেলায় এ পর্যন্ত প্রস্তুত রাখা হয়েছে সরকারিভাবে ২০৪ জন ডাক্তার এবং বেসরকারী ভাবে প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৪৩ জন ডাক্তার। জেলায় করোনাভাইরাস মোকাবেলায় ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে ১০হাজার ৫৪টি সরকারি ভাবে এবং বেসরকারিভাবে বিতরণ করা হয়েছে ১০০ টি। বর্তমানে জেলায় ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী সরকারিভাবে মজুদ আছে ৪১৪৬। করোনাভাইরাস মোকাবেলায় জরুরী চিকিৎসা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য জেলায় আটটি এম্বুলেন্স প্রস্তুত রাখা হয়েছে।