ইকবাল বাহার:
চাঁদপুরের ৮ টি উপজেলায় গত ১বছরে ৭হাজার ৭শ ৯৪ জন বিদেশগামী কর্মীর নিবন্ধন ও ফিংগার ইমপ্রেশান কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। চাদঁপুর কর্মসংস্থান ও জনশক্তি কার্যলয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রাপ্ত তথ্যসুত্র অনুযায়ি, ২০২০ সালের আগস্ট মাসে ১২ জন, অক্টোবর ৩২ জন, নভেম্বর ৯০৫ জন, ডিসেম্বর ১২৩৬ জন। আর চলতি বছরের জানুয়ারি ১০৯০৪ জন, ফেব্রুয়ারি ২০১৪০জন, এপ্রিল ৬১৩ জন, মে ৯৪৮জন। এ নিয়ে সর্বমোট ৭৭৯৪ জনের বিদেশগামী কর্মীর নিবন্ধন ও ফিংগার ইমপ্রেশান কার্যক্রম সম্পন্ন হয়।
এছাড়া চাঁদপুরে ২০১৭ সালের সেপ্টম্বর মাস থেকে এ জেলায় ফিংগার প্রিন্ট ও নিবন্ধন কার্যক্রম চালু হয়ে বর্তমানে প্রত্যেক মাসে গড়ে প্রায় ২৫০০ বিদেশগামী কর্মীর ফিংগার প্রিন্ট ও নিবন্ধন হচ্ছে। ছোট জেলা হলেও অভিবাসী শ্রমিক প্রেরণে দেশের ৪২টি জেলার মধ্যে চাঁদপুর ৫ম স্থানে অবস্থান করছে।
নিরাপদ অভিবাসন নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে ব্যাপক প্রচার প্রচারণা বৃদ্বি করায় মধ্যস্বত্বভোগী/দালাল ও প্রতারক চক্রের দৌরাত্ন কমেছে। রেমিটেন্স প্রবাহ বৃদ্রির জন্য প্রচার প্রচারণা অব্যহত রাখায় রেমিটেন্সের পরিমান বুদ্বি পেয়েছে। বিদেশ গমনেচ্ছু কমীগণ সঠিক দিক নির্দেশনা পাওয়ায় ডিইএমও চাঁদপুর এর আওতাধীন উপজেলাসমূহের বিদেশগামী কর্মীর রসংখ্যা উত্তরোত্তর বৃদ্বি পাচেছ। এছাড়া বৈদেশিক কর্মসংস্থান ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন সাধন ও বৈধ উপায়ে বিদেশ গমনের লক্ষ্যে বিদেশগামী কর্মীদের বাধ্যতামূলক অনলাইন রেজিস্ট্রেশন,ফিংগার প্রিন্ট এবং অনলাইন এ ভিসা যাচাইসহ বিভিন্নি প্রকার সেবা প্রদান করে আসছে। ফলে বিদেশ গমনেচ্ছু কর্মীগীণ স্বচ্ছতার সাথে অতি অলাপ সময়ের মধ্যে বিদেশ গমনের প্রয়োজনীয় কার্যসমূহ সম্পন্ন করতে পারিছে।
এরমধ্যে বিদেশগামীদের বিভিন্ন ধরনের হয়রানির অভিযোগও রয়েছে। তাদের মতে ফিঙ্গারপ্রিন্ট নিতে আসলে বিভিন্ন সমস্যা দেখিয়ে দিনের পর দিন আসতে হয়।আর করোনার দোহাই দিয়ে অফিস ঢুকতে বিভিন্ন হয়রানির শিকার হতে হয়।
ফিঙ্গারপ্রিন্ট নিতে আসা একজন দৈনিক শপথকে জানান, আমি গত দুইদিন আসতেছি কিন্তু এখনও ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিতে পারিনি। আশা করি আজকে দিতে পারবো।
এই ব্যাপারে দৈনিক শপথকে চাদঁপুর কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিস উপ-সহকারী পরিচালক মোঃ শহিদুল ইসলাম বলেন, আমি মাত্র কয়েক মাসে এখানে যোগদান করি। তারপর থেকে কাজ বেগবানের উপর জোর দেই আর আমরা এখানে শুধুমাত্র বিদেশগামী কর্মীদের নিবন্ধন ও ফিংগার ইমপ্রেশান কার্যক্রম সম্পূর্ণ করি। এগুলো রেডি করে আমরা হেড অফিসে পাঠিয়ে দেই। এরপর কয়জন বিদেশ যায় বা বা যেতে পারে নেই সে তথ্য আমাদের কাছে নেই।