এম এ লতিফ:
চাঁদপুরে আ.লীগ নেতা রফিকুল্লাহ কোম্পানীকে হত্যাকান্ডের ঘটনায় ক্লু খুঁজতে বাড়ির কেয়ারটেকার মিরাজ হোসেনকে পুলিশি হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। তবে ওই ঘটনায় মামলা এখনো প্রক্রিয়াধীন বলে জানিয়েছে পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চাঁদপুরের পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ।
তিনি বলেন, তদন্তের স্বার্থে আমরা মিরাজকে আটক করেছি। আমাদের তদন্ত চলছে। চেষ্টা করছি যত দ্রæত সময়ের মধ্যে হত্যাকারীকে সনাক্ত করা যায়। তবে আশা করছি সহসাই অপরাধীকে আইনের আওতায় আনতে পারবো।
যদিও ঘটনার পরপরই পুলিশ, সিডিআই ও পিবিআই এর সদস্যরা যৌথভাবে তদন্তে নেমেছে। তারা হত্যাকান্ডের আলামত সংগ্রহ করে তদন্ত শুরু করে দিয়েছেন বলে চাঁদপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ আবদুর রশিদ জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, আমরা মিরাজকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছি। তবে সে জানিয়েছে বাবুরহাটের কোন এক লোক তার কাছে আসতো, এমনকি ঘটনার দিন বিকেলেও এসেছে। তবে মিরাজ তাকে চিনে না বলে আমাদেরকে জানিয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি ওই লোকটিকে সনাক্ত করতে। আর ওই লোকটিকে আটক করতে পারলে হয়তোবা খুনির পরিচয় পাওয়া যাবে।
এদিকে গতকাল রোববার বাদ জোহর রফিকুল্লাহর বাড়ির সম্মুখস্থ কোম্পানী ঘাট জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে মৃত রফিকুল্লাহর জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। মরহুমের জানাজায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, জেলা আ.লীগ সভাপতি মো. নাছির উদ্দিন আহমেদ ভূইঁয়া, সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল, জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও প্রশাসক ওচমান গণি পাটওয়ারীসহ শত শত আ.লীগ নেতা-কর্মী, সাংবাদিক ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেয়। পরে রফিকুল্লাহর মরদেহ তাদের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
চাঁদপুর জেলা আ.লীগের সভাপতি নাছির উদ্দিন আহমেদ ভূইঁয়া বলেন, রফিকুল্লাহ ভাই আমার দীর্ঘদিনের সহকর্মী ছিলেন। আমি তার এ ধরনের মৃত্যুতে শোকাহত। এদেশের মাটিতে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার এমন পরিণতি মেনে নেয়া কঠিন। তাই অনতিবিলম্বে হত্যাকারীকে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাই।
কেন্দ্রীয় কমিটির ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী বলেন, তিনি ক্লিন ইমেজের একজন রাজনৈতিক ব্যক্তি ছিলেন। তার মৃত্যুতে আমি মর্মাহত। তাই আমিসহ পুরো চাঁদপুরবাসী এ হত্যাকান্ডের বিচার চাই।
উল্লেখ্য, গত শনিবার সন্ধ্যায় চাঁদপুর শহরের নতুন বাজারস্থ নিজ বাসায় দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে খুন হন জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল্লাহ কোম্পানি (৭০)। তিনি শহীদ জাবেদ মুক্ত স্কাউটের সভাপতি ছিলেন। নিহত বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল্লাহ চাঁদপুরে সর্বজন শ্রদ্ধেয় হেদায়েত উল্লাহ কোম্পানীর ছেলে ছিলেন। তিনি ছিলেন অবিবাহিত।
ফলোআপ নিউজ