বিল্লাল ঢালী:
দিন দিন জেলায় করনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলছে। জেলার মধ্যে চাঁদপুর সদর উপজেলা করোণাআক্রান্তের সংখ্যা বেশি। শুধু সদর উপজেলাতেই এপর্যন্তআক্রান্তের সংখ্যা ১৩৭ জন। যেখানে চাঁদপুর জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা মোট ২৯২ জন।
চাঁদপুরের সিভিল সার্জন ডাঃমো. সাখাওয়াতউল্লাহ জানান, জেলায় এ পর্যন্ত নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ২ হাজার ৭শ২৭ টি। রিপোর্ট এসেছে ২ হাজার ১শ২২টি। রিপোর্ট অপেক্ষমাণ ৬শ ০৫ টি। পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে ২শ৭৯ টি। এরমধ্যেদুইজনের পরীক্ষায়দ্বিতীয়বার পজেটিভ এসেছে। বাকি ১ হাজার ৮শ ৪৩ টি রিপোর্ট নেগেটিভএসেছে।জেলায় এই পর্যন্ত চিকিৎসাধীন রোগী ১৯২জন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ১১, ঢাকায় রেফার করা হয়েছে ৪ ও হোম আইসোলেশনে আছে ১শ৭৭ জন। এই পর্যন্ত আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে সুস্থ্য হয়েছেন ৭৬জন। মৃত্যুর বরন করেছে ২৫ জন।
এই পর্যন্ত আইসোলেশনেরোগীর সংখ্যা ১৫৮জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়প্রাপ্ত হয়েছেন ১২৪জন। বর্তমানে আইসোলেশনে রোগী সংখ্যা ৩৪জন। এর মধ্যে কোভিড-১৯: ১১জন, নন কোভিড: ২৩জন।
তিনি আরো জানান, জেলায় হোম কোয়ারেন্টিনে থাকা ব্যাক্তির সংখ্যা ৪৪১৭জন। ছাড়প্রাপ্ত হয়েছেন ৩৬৫১জন। বর্তমানে হোম কোয়ারেন্টিনে আছেন ৭৪২জন।
চাঁদপুরজেলায়করোনা আক্রান্ত ২৯২ জনের মধ্যে ২৭৯জন রোগী চাঁদপুরেসনাক্ত।উপজেলাভিত্তিক পরিসংখ্যান হলো : চাঁদপুর সদরে ১৩৭জন, ফরিদগঞ্জে ৪৪জন, হাজীগঞ্জে ২৫জন, মতলব দক্ষিণে ২৩জন, শাহরাস্তিতে ২৩ জন, কচুয়ায় ১৮জন, মতলব উত্তরে ১৩জন ও হাইমচরে ১০জন। বাকিদের মধ্যে ৪জন ঢাকা, ০২ লক্ষ্মীপুরে, মতলব দক্ষিণ আইসিডিডিআরবি হতে প্রাপ্ত ৭ এবং কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হতে প্রাপ্ত ১ এবং নারায়ণগঞ্জ থেকে আগত ১ জন আক্রান্ত হয়ে চাঁদপুরে এসেছে।
এছাড়া জেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণকারী ২৫ জনের উপজেলাভিত্তিক পরিসংখ্যান হলো : চাঁদপুর সদরে ৮জন, কচুয়ায় ৪জন, ফরিদগঞ্জে ৪জন, মতলব দক্ষিণে ১, হাজীগঞ্জে ৩জন, মতলব উত্তরে ২জন ও শাহরাস্তিতে ৩জন।
১১ জুন পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন থানায় দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে ২৪ জন পুলিশ সদস্য করোনা আক্রান্ত হন।আক্রান্তদের মধ্যে রয়েছেন সদর থানায় ৮ জন, হাইমচর থানার ৪ জন, কচুয়া থানার ২ জন, শাহরাস্তি থানার ২ জন, সদরের একজন ট্রাফিক পুলিশ, পুলিশ লাইনসের ৪ জন, জেলা পুলিশ হতে নৌপুলিশে প্রেষণে কর্মরত একজন এবং হাজীগঞ্জউপজেলায় ২ জন। এদের মধ্যে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১২ জন। আইসোলেশনেচিকিৎসাধীন রয়েছেন ১২ জন পুলিশ সদস্য।
করোনাভাইরাসমোকাবেলায়চাঁদপুরজেলায় ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছিল। জেলায় সরকারি ভাবে ৮ এবং বেসরকারিভাবে ২০ টি চিকিৎসাকেন্দ্র প্রস্তুত আছে। জেলায় মোট ৭৭৩ টি বেড প্রস্তুত আছে রোগীদের জন্য। এরমধ্যেসরকারিভাবে ২৪৩ টি এবং ২৩০ টি বেড প্রস্তুত আছে বেসরকারীভাবে। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের চিকিৎসায় প্রস্তুত আছে সরকারিভাবে ৭৫ এবং বেসরকারিভাবে ২৩ টি বেড। ভাইরাস মোকাবেলায়জেলায় এ পর্যন্ত প্রস্তুত রাখা হয়েছেসরকারিভাবে ২০৪ জন ডাক্তার এবং বেসরকারী ভাবে প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৪৩ জন ডাক্তার।
করোনাভাইরাসমোকাবেলায় জরুরী চিকিৎসা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য জেলায় আটটি এম্বুলেন্স প্রস্তুত রাখা হয়েছে। চিকিৎসাকেন্দ্রেজরুরি বিভাগে জেলায় কোন আইসোলেশন ব্যবস্থা নেই।