এম এ লতিফ:
প্রতিবছরই কয়েকশত সাপেকাটা রোগী চিকিৎসা নিচ্ছে চাঁদপুরের ৮ উপজেলার সরকারি হাসপাতালে। এসব রোগীর শতকরা ৯৯ ভাগই বিষধর সাপেকাটা না হওয়ায় প্রাণে বেঁচে যাচ্ছেন তারা। আবার কোন কোন রোগী স্থানীয়ভাবে ওজাদের মাধ্যমে চিকিৎসা নিয়েও সুস্থ হচ্ছেন। তবে ওইসব রোগীর পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসা জেলা সরকারি হাসপাতালে থাকলেও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে নেই। যদিও এ নিয়ে তেমন কোন সমস্যায়ও পড়তে হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একাধিক স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা।
হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এস. এম সোয়েব আহমেদ চিশতি বলেন, বর্ষা মৌসুমেই সাপেকাটা রোগী বেশি পাই। তবে বেশির ভাগ রোগীই নরমাল সাপেকাটা রোগী। তাই তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেই। যদিও বিষধর সাপেকাটা রোগী আসলে এন্টিভেনম না থাকায় প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে কুমিল্লা কিংবা ঢাকায় রেফার করে দেই। এন্টিভেনম না থাকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বরাদ্ধ থাকলেও এখনো পাইনি।
ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আশরাফ আহমেদ চৌধুরী বলেন, মাঝে মাঝে সাপেকাটা রোগী আসলেও প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েই সুস্থ হয়ে যায়। তবে এন্টিভেনম না থাকায় বিষধর সাপেকাটা রোগী জেলা সরকারি হাসপাতালে পাঠিয়ে দেই। তবে তা একবারেই নগণ্য।
চাঁদপুর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট সরকারি জেনারেল হাসপাতালের আরএমও ডা. সুজাউদৌলা রুবেল বলেন, পুরো জেলায় প্রতিবছরই কয়েকশত সাপেকাটা রোগীর চিকিৎসা আমরা দেই। তবে গত একবছরে চাঁদপুর জেলা সরকারি হাসাতালেই ১২০ থেকে ১৩০টি রোগীর চিকিৎসা দিয়েছি। যারমধ্যে মাত্র দুটি ছিল বিষধর সাপেকাটা। এরমধ্যে একজন বাঁচলেও অন্যজন মারা যায়। তিনি বলেন, এর বাহিরেও অনেক নরমাল সাপেকাটা রোগী স্থানীয় ওজাদের মাধ্যমে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হচ্ছেন।
যদিও চাঁদপুরের ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. গোলাম কাউছার হিমেল বলেন, সব উপজেলাতেই সাপেকাটা রোগীর চিকিৎসা দেয়া হয়। তবে সাপের বিষের চিকিৎসাতে ব্যবহৃত এন্টিভেনম দেয়ার ক্ষেত্রে কিছু পাশর্^প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। কিন্তু তা নিরসনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা বা লোকবল উপজেলায় নেই। তাই ওইসব হাসপাতালে এন্টিভেনমের বরাদ্ধ থাকলেও আমরা দিতে পারছি না। তবে এন্টিভেনম পর্যাপ্ত মজুত আছে বলে জানান তিনি।