ইকবাল বাহার:
বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের বসবাসরত রেমিট্যান্স যোদ্ধার সন্তানদের চাঁদপুরের ৮টি উপজেলায় সর্বমোট ১শ ৭৪ জনকে শিক্ষা উপবৃত্তি সুবিধা প্রদান করা হয়েছে। প্রবাসীর সন্তানকে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিস চাঁদপুর এর মাধ্যমে এই শিক্ষা উপবৃত্তি প্রদান করা হয়। অস্বচ্ছল প্রবাসী কর্মীর সন্তানকে শিক্ষিত জনসম্পদে রূপান্তরিত করতে তাদের মেধাবী সন্তানদের ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডর অর্থায়নে ২০১২ সাল থেকে পিইসি, জেএসসি, এসএসসি এবং এইচএসসি অথবা সমমান ক্যাটাগরিতে বৃত্তি প্রদান করা হচ্ছে।
প্রাপ্ত তথ্যসুত্রে জানা যায়, চাঁদপুরে এইসএসসি ৬ জনকে ৩৬ হাজার টাকা, জেএসসি ৪৫ জনকে ২হাজার ৫০টাকা, পিএসসি-তে ৮২ জন-১৪ হাজার টাকা, এসএসসি ১১জনকে ২৭হাজার ৫শ টাকার শিক্ষা উপবৃত্তি প্রদান করা হয়। যেখানে সারাদেশে গত ১ বছরে পিএসসি ১হাজার ৫শ ৫৭জন-৩ বছর, এসএসসি ২ বছর, এইচএসসি ৬৪৬ জন মোট ২৩৬৮ জন ২ বছর এই সুবিধা প্রদান করা হয়। এসকল উপবৃত্তির ২০২০ সালের আবেদন করা হয়েছিল। বর্তমানে ২০২১ সালের আবেদন চলমান রয়েছে। বর্তমানের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে যাচাই-বাছাই করে এই সংখ্যা বাড়ানো বা কমানোও হতে পারে। বিভিন্ন শ্রেণি অনুযায়ী এসব উপবৃত্তি প্রদান করা হয়। কোন কেন শিক্ষার্থী একবছর, ২বছর, ৩ বছর, এবং ৪ বছরও পায়। আর এই আবেদন প্রতিবছেরই চলে।
সুত্র মতে বাংলাদেশ হতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জনশক্তি রপ্তানী শুরু হয় ১৯৭৬ সাল থেকে। সময়ের সাথে তা ক্রমাগত বৃদ্ধি পেতে থাকে। বর্তমানে বিশ্বের ১৬০ টি দেশে প্রায় ১ কোটির বেশি প্রবাসী বাংলাদেশি কর্মী জীবিকার প্রয়োজনে কর্মরত আছে। এসব বাংলাদেশিরা কর্মক্ষেত্রে মেধা, যোগ্যতা ও দক্ষতার ছাপ রেখে চলেছেন। তাদের কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে অর্জিত রেমিটেন্স (বৈদেশিক মুদ্রা) দেশের উন্নয়ন তথা অর্থনীতিতে বিরাট অবদান রাখছে। প্রবাসী কর্মীদের অবদানের বিষয়টি বিবেচনা করে তাদের এবং দেশে বিদেশে কর্মীদের পরিবার পরিজনকে সাহায্য সহযোগিতা কিংবা উদ্ভুত সমস্যার সমাধান কল্পে তথা সার্বিক কল্যাণমূলক কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষে সরকার ঊসরমৎধঃরড়হ ঙৎফরহধহপব-১৯৮২ এর ১৯(১) ধারার ক্ষমতাবলে সরকার ১৯৯০ সালে “ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ তহবিল” গঠন করে। “ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড আইন,২০১৮” এর মাধ্যমে “ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড” একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে।
এ ব্যাপারে দৈনিক শপথকে কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিস উপ-সহকারী পরিচালক মোঃ শহিদুল ইসলাম বলেন, প্রবাসীর সন্তানরা অনলাইনে আবেদন করলে সেগুলো এপ্রুভ হয়ে আসলে আমাদের কাছে তথ্য প্রমাণসহ চেক আসে। আমাদের অফিসে আবেদন আসলে সেগুলো যাচাই-বাছাই করে হেড অফিস পাঠানো হয়। এরপর সবকিছু ঠিক থাকলে আবেদন চুড়ান্ত মনোনীত করলে তাদেরকে শিক্ষা উপবৃত্তি প্রদান করা হয়। বর্তমানে আবেদন চলছে এগুলো পরিপূর্ণ হলে পরের বছর থেকে তারাও এই সুবিধার আওতায় আসবে।