স্টাফ রিপোর্টার:
চাঁদপুরের ৮ উপজেলার ইউএনওদের বাসভবনে চারজন করে সশস্ত্র আনসার মোতায়েন করা হয়েছে। গত বুধবার দিনাজপুরের নিবার্হী কর্মকর্তা ওয়াহিদা খানমের উপর হামলার ঘটনায় সারাদেশে ইউএনওদের বাসভবনে নিরাপত্তায় আনসার সদস্য মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তারই পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার রাত থেকেই প্রতিটি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাদের বাসভবনে আনসার বাহিনীর চারজন সদস্য পালাক্রমে দায়িত্ব¡ পালন শুরু করেছে।
চাঁদপুরের আটটি উপজেলার মধ্যে ছয় উপজেলায় নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্ব¡ পালন করছেন নারী কর্মকর্তা। আর স্বভাবতই এসব ইউএনওদের ভেতরে বর্তমানে কিছুটা শঙ্কা বিরাজ করছে। আর এই জন্যই বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখছে প্রশাসন।
এ বিষয়ে হাজীগঞ্জ উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা বৈশাখী বড়–য়া জানান, দিনাজপুরের ঘটনায় কিছুটা ভয়তো কাজ করছেই। কেননা আমরা সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করি। আমি জেলা প্রশাসক মহোদয়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিও অশেষ কৃতজ্ঞতা জানাই। উনি আমাদের সুরক্ষার প্রতি সদয় দৃষ্টি রেখেছেন।
চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কানিজ ফাতেমা বলেন, আতঙ্কিত নই। তবে ক্ষোভ আছে। দিনাজপুরে যে ঘটনাটি ঘটেছে এটি কোনো ভাবেই মেনে নিতে পারছি না। এটা কোনো সভ্য মানুষের কাজ হতে পারে না। আমরাতো মানুষের জন্যেই কাজ করি। দেশের জন্যে কাজ করি। এখানেও যদি নিরাপত্তা নিয়ে আমাদের ভাবতে হবে কাজ করাতো কঠিন হবেই। যদিও আমি এসবে ভয় করি না। তবে মনে তীব্র ক্ষোভ লালন করি।
প্রসঙ্গত, গত বুধবার গভীর রাতে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াহিদা খানমের সরকারি বাসভবনে ভেনটিলেটর ভেঙে প্রবেশ করে তার ওপর হামলা চালায় দুবৃত্তরা। ভারী ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে তাকে গুরুতর আহত করা হয়। এ সময় মেয়েকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে ওয়াহিদার বাবা মুক্তিযোদ্ধা ওমর আলী শেখকেও জখম করে দুর্বৃত্তরা। পরবর্তীতে গুরুতর আহত ইউএনও ও তার বাবাকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে সেখান থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ইউএনও ওয়াহিদাকে ঢাকায় উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়।