মেহেদী হাসান দিপু,ঢাকা:

দেশীয় প্রতিষ্ঠান গ্লোব বায়োটেক করোনার ভাক্সিন হিসেবে ট্রায়ালের জন্য প্রয়োজনীয় টিকা উৎপাদন করার জন্য অনুমোদন পেয়েছে। গ্লোব বায়োটেক লিমিটেডের গবেষণা ও উন্নয়ন বিভাগীয় প্রধান ডা. আসিফ মাহমুদ জানান, তাঁরা এই টিকার নাম দিয়েছেন ‘বঙ্গভ্যাক্স’। প্রতিষেধক ওষুধ উৎপাদনের ক্ষেত্রে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর অনুমোদিত হতে হয়। ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর কর্তৃক গ্লোব বায়োটেক লিমিটেডকে পরীক্ষামূলক ভাবে এই ভ্যাক্সিন উৎপাদনে অনুমতি দেয়া হয়। পরীক্ষামূলক এই ভাক্সিন উৎপাদনের পর গ্লোব বায়োটেক লিমিটেড ভ্যাক্সিন ট্রায়ালের জন্য অনুমোদনের চেষ্টা চালাবে বলে নিশ্চিত করেন ডাঃ আসিফ মাহমুদ। গত ২০২০ সালের ২রা জুলাই নতুন করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) ভ্যাক্সিন উদ্ভাবনের দাবি করেছে এই ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান গ্লোব ফার্মাসিউটিক্যালস গ্রুপ অব কোম্পানিজ লিমিটেডের সহযোগী প্রতিষ্ঠান গ্লোব বায়োটেক লিমিটেড। পুরো বিশ্বে প্রথমবারের মতো কোনো বাংলাদেশী প্রতিষ্ঠান এই ভাক্সিন উদ্ভাবনের দাবি করল। গ্লোব বায়োটেক লিমিটেড গত ৮ই মার্চ ২০২০ সালে এই টিকা তৈরির কাজ শুরু করে। গ্লোব বায়োটেক লিমিটেডের নাম বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তালিকায় স্থান পেয়েছে। মোট ১৫৬টি টিকা পরীক্ষামূলক প্রয়োগের পূর্বাবস্থায় আছে, তার মধ্যে গ্লোব বায়োটেক লিমিটেডের তিনটি টিকা রয়েছে। গত ২০২০ সালের ১৮ই অক্টোবর গ্লোব বায়োটেকের গবেষণা ও উন্নয়ন শাখার বিভাগীয় প্রধান আসিফ মাহমুদ বলেছিলেন, তাদের ভাক্সিন প্রাণীর শরীরে সফল ভাবে কাজ করেছে । তারা ক্লিনিক্যাল পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তখন গ্লোব বায়োটেক লিমিটেড কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, তারা মোট তিনটি ভ্যাক্সিন উদ্ভাবন করেছে। ভাক্সিন গুলো ডি ৬১৪ ভেরিয়েন্ট এম.আর.এন.এ, ডি.এন.এ প্লাজমিড ও এডিনোভাইরাস টাইপ-৫ ভেক্টর। মহামারী করোনার টিকা প্রাপ্তি নিয়ে তুমুল আলোচনার মধ্য দিয়ে গ্লোব বায়োটেক লিমিটেড এ অনুমোদন পেল। বিশ্বের প্রথম সারিতে থাকা ভাক্সিন গুলোর মধ্যে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাক্সিন উৎপাদন করছে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট। সেরাম ইনস্টিটিউটের কাছ থেকে ভাক্সিন কিনছে বাংলাদেশ সরকার। এই ভাক্সিন সরবরাহ করবে বেক্সিমকো ফার্মা। এ বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, বেক্সিমকো ফার্মা ও সেরাম ইনস্টিটিউটের ইতোমধ্যে চুক্তি হয়েছে।