ফাহাদ খাঁন:
ফরিদগঞ্জে আয়েশা আক্তার মানিক (৪৫) নামে এক গৃহবধুর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। গত সোমবার (২৩ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৯ টায় উপজেলার ১৫নং ইউনিয়নের দক্ষিণ বদরপুর গ্রামের করিম উদ্দিন পাটওয়ারী বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ রাতেই ওই গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। আর গৃহবধূর মৃত্যুতে মাত্র ৩ মাসেই মাকে হারালো তার একমাত্র শিশু সন্তান আসমা আক্তার।
মৃত গৃহবধূর স্বামী ও স্থানীয়দের থেকে প্রাপ্ত তথ্য সূত্রে জানা যায়, ওই গ্রামের মৃত আবদুর রশিদের ছেলে মোঃ তুহিন পাটওয়ারীর সাথে একই উপজেলার রুস্তুমপুর গ্রামের হাবীব উল্যা পোদ্দারের মেয়ে আয়েশা আক্তার মানিকের বিবাহ হয়। তাদের দাম্পত্য জীবনে আসমা আক্তার নামে ৩ মাসের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। মৃত আয়েশা তার শিশু কন্যা ও স্বামীসহ একা বাড়িতে বসবাস করতেন।
ঘটনার দিন আয়েশার স্বামী তুহিন তার শিশু কন্যাকে বাড়ি থেকে অন্যস্থানে নিয়ে যাওয়ার সময় এলাকার মানুষের সন্ধেহ হলে মানুষের জন বাড়িতে এসে দেখে আয়েশার মৃতদেহ বিছানায় পড়ে আছে। যদিও তার স্বামী তুহিন পাটওয়ারী দাবী তার স্ত্রী সিলিং ফ্যানের সাথে গলায় ফাঁস দেয়া অবস্থায় দেখতে পেয়ে তাৎক্ষনিক সিলিং ফ্যানের থেকে নিজে নামিয়ে বিছানায় শুয়েছেন।
আয়েশার স্বামী দাবী করেছেন, কয়েকদিন যাবত তার স্ত্রীর গতিবিধি রহস্যজনক ছিলো। মুঠো ফোনে একাধিক মানুষের সাথে কথা বলতো বলেও দাবী করেন তিনি। এদিকে গৃহবধূ আয়েশার মৃত্যু এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। মৃত্যুটি আত্মহত্যা নাকি হত্যা তা নিয়েই চলছে বিভিন্ন গুঞ্জন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মমিন উল্যাহ পাটওয়ারী জানান, আয়েশার স্বামী তুহিন পাটওয়ারী সৌদিতে ছিলো। প্রবাসে থাকাবস্থায় তার প্রথম স্ত্রীও ৩ কন্যা সন্তান রেখে মৃত্যুবরণ করেন।
বিষয়টি নিয়ে ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শহীদ হোসেন জানান, খবর পেয়ে আয়েশার মৃতদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।