সুমন আহমেদ
মতলব উত্তর উপজেলায় মাজেদা আক্তার নামে এক গৃহবধূকে মারধরের চেষ্টা ও প্রাণনাশের হুমকি দেয়ায় অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে গত ৩১ জানুয়ারি রোববার চাঁদপুর আদালতে মামলা দায়ের করেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার মোহনপুর গ্রামের গোলাম রছুলের মেয়ে মাজেদা আক্তার (২৩) এর সাথে ডুবগী গ্রামের মৃত মুকররম আলীর ছেলে নূরুল ইসলাম সবুজের সাথে বিগত ২৭/০৮/২০২০ইং তারিখে মুসলিম শরাশরিয়তের বিধানমতে রেজিস্ট্রিকৃত কাবিননামা মূলে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা দেনমোহরানা ধার্য্যে করে এবং কোন অর্থ পরিশোধ না করে কাবিন নামার ১৫নং কলামে ১ লাখ টাকা উশুল লিপিবদ্ধ করে।
বাদী মাজেদা আক্তার ১নং প্রতিপক্ষ নূরুল ইসলাম সবুজের দাম্পত্য জীবন চলাকালীন অবস্থায় স্বামী বিভিন্ন সময়ে যৌতুক দাবী করে এবং চাপ প্রয়োগ করে। বিষয়টি স্থানীয় শালিশ দরবারীগণ ও আত্মীয় স্বজনদের জানালে নূরুল ইসলাম সবুজ ক্ষিপ্ত হয়ে যায়। পরে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে বাদীর পিত্রালয়ের ঘরের সামনে এসে ১৪ জানুয়ারি শুক্রবার সকালে স্বামী নূরুল ইসলাম সবুজ (৩৪) স্থানীয় ইউপি সদস্য বিল্লাল হোসেন, সবুজের ভাই মিলন (৩৫), তার স্ত্রী রেহেনা (২৮), মৃত হাসান প্রধানের ছেলে কাশেম প্রধান (৪৫), তার স্ত্রী আয়েশা আক্তার (৩৫), মৃত হাজিল উদ্দিনের ছেলে নূর মোহাম্মদ (৪৮), অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ করে এবং মারধর করতে উদ্যত হয়। বাদীকে যে কোন সময়ে যে কোন স্থানে পেলে খুন করবে বলেও হুমকি দেয়।
পরে বাদী এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে উক্ত বিষয় জানালে সকল বিবাদী আরো বেশি ক্ষিপ্ত ও উত্তেজিত হয়ে আবারো ৩১ জানুয়ারি রোববার বিকেলে লাঠিসোটা নিয়া বাদীকে হত্যার উদ্দেশ্যে আক্রমন করে। বাদী কোন রকমে বসত ঘরে গিয়ে দরজা বন্ধ করে প্রাণে রক্ষা পায়। বাদীর ডাক চিৎকার দিলে বাড়ির ও আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে বিবাদীরা পালিয়ে যায়।
মাজেদা আক্তার জানান, সকলের সামনে প্রকাশ্যে আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে বলে তোকে একা পেলে হত্যা করে তোর লাশ কেটে টুকরা টুকরা করে বস্তায় ভরে মেঘনা নদীতে ভাসাইয়া দিমু। তোর পিতার ঘর বাড়ি জ্বালাইয়া দিয়া দেশ ছাড়া করমু। দেখমু তোদেরকে কে বাঁচায়। আমি আইনের কাছে সুবিচার চাই।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত নূরুল ইসলাম সবুজের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি, তবে ২নং বিবাদী ইউপি সদস্য বিল্লাল হোসেনের সাথে কথা হলে তিনি তা অস্বীকার করেন।