সম্পাদকীয়
গণমাধ্যম একটি জাতির প্রতিচ্ছবি। গণমাধ্যমের মাধ্যমে সারা পৃথিবীর নৈতিক চিন্তাধারা মানবতাবোধ মানবিকতার প্রতিচ্ছবি আয়নার মতো তুলে ধরে। সকল মানুষের সম্মুখে দৃশ্য জনে জনে দেশে দেশে সমগ্র পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ে। গণমাধ্যমের বদৌলতে সমগ্র পৃথিবীর মানুষের সাথে যোগাযোগ সম্ভব হয়েছে যে যোগাযোগের ভিত্তি রয়েছে। কারণ জনগণ ব্যক্তিগতভাবে এখন প্রতিটি দেশের মানুষকে প্রতি প্রত্যেক জনগণ সমগ্র পৃথিবীর মানুষ চেনা জানা এসব সম্ভব হয়েছে যোগাযোগের মাধ্যমে। গণমাধ্যম একটি দেশের আয়না সমাজের প্রতিচ্ছবি সমাজের আয়না যাই বলি না কেন বর্তমান প্রেক্ষাপটে সেই আয়নায় ধুলো জমে আছে বালি জমে আছে। গণমাধ্যমের প্রাণ খুলে কথা বলার সুযোগ নেই। হাত খুলে লেখার সুযোগ নেই। কারণ স্বার্থ বিরোধী কোন কথা হয়ে গেলেই তা আইসিটি মামলা দিয়ে গণমাধ্যমকে স্থবির করে দেয়া হয়। মুখ বন্ধ করে দেয়া হয়। গণমাধ্যমের কলম আটকে দেয়া হয় সেই দেশে গণমাধ্যম সমাজের আয়না শুধু মুখেই বলে বেড়ানো সম্ভব বাস্তবে গণমাধ্যমের গলা টিপে আছে ফাঁস ফরানো আছে। ২০ আগস্ট দৈনিক শপথ পত্রিকায় প্রকাশ হয়েছে মতলব উত্তরের সাংবাদিককে প্রাণনাশের হুমকির প্রতিবাদে মানববন্ধন। গণমাধ্যমের বদৌলতে দেশের মানচিত্র বিশ্বে স্বীকৃতি পেয়েছে। এই কর্ম কোনভাবেই স্বীকার করার সুযোগ নেই। আইসিটি আইন গণমাধ্যমের ডালাও প্রভাবকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। যার ফলে গণমাধ্যমকে বা গণমাধ্যমের কর্মীদেরকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের হুমকির সম্মুখীন হতে হচ্ছে। গণমাধ্যম চাইলেই কোন কিছু প্রকাশ করতে পারে না। গণমাধ্যমের লেখক চাইলেই কিছু লিখতে পারে না। গণমাধ্যমের কথা বলার কেউ চাইলেই কথা বলতে পারে না। লিখতে গেলে বলতে গেলে আইসিটি নামক মামলা তাকে কোনঠাসা করা হয়। যার ফলে আটকে আছে বাস্তব সত্য। দুমড়ে আছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গণমাধ্যম। বিশেষ করে বাংলাদেশের গণমাধ্যমকে কয়েকটি শব্দের মাধ্যমে আটকে রাখা হয়েছে। নেতিবাচক এবং ইতিবাচক এ দুটি শব্দের মধ্যে যেকোনো সংবাদ ইতিবাচক হলে প্রকাশে বাধা নেই। নেতিবাচক হলে প্রকাশে বাধা আছে। এ দুটো শব্দ গণমাধ্যমের কার্যক্রমকে থমকে দিয়েছে গণমাধ্যমের মধ্যেও কিছু নেতিবাচক কর্মকাÐ রয়েছে। সেটা অস্বীকার করার সুযোগ নেই। চলমান বাংলাদেশের রাজনীতির প্রেক্ষাপটে গণমাধ্যমকে এক ঘরে রাখা হয়েছে এটাও যেমন অপ্রিয় সত্য। আবার গণমাধ্যমের চর্চা বর্তমান সময়ে সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশের ইতিহাসে। গণমাধ্যমের প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে বর্তমান সময়ে বাংলাদেশ যতটুকু এগিয়ে গেছে বা এগিয়ে আছে বিগত দিনগুলোতে গণমাধ্যম ততটুকু এগোতে পারেনি এটাও অস্বীকার করার সুযোগ নেই। কিন্তু গণমাধ্যমের ব্যাপকতার ফল রাষ্ট্রীয় কার্যক্রমকে কতটুকু প্রভাবান্বিত করেছে সেটাও বিবেচ্য বিষয়। সমগ্র দেশের মধ্যে দুর্নীতির একটা জাল বুনে গেছে সেই জাল ছেড়ে বা জাল থেকে বেরিয়ে গণমাধ্যম কতটুকু বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশ করতে পারছে সেটাও দেখার বিষয়। সংবাদ এর ক্ষেত্রে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশের ক্ষেত্রে সরকারের পক্ষ থেকে তাগিদ থাকলেও বস্তুনিষ্ঠ নয় এমন সংবাদ প্রচারের ক্ষেত্রে ব্যাপক বাধা আছে আর সেটা বাংলাদেশে বিগত দিনগুলোতে বিভিন্ন সাংবাদিকের সংবাদপত্রের গণমাধ্যমের একান্ত ইতিহাস ঘাটলেই বুঝতে বাকি নয়।