সম্পাদকীয়:
গণমাধ্যম পৃথিবীর একমাত্র গণজাগরণের মাধ্যম জনগণকে সম্মিলিত করতে হলে জনগণকে বর্তমান প্রেক্ষাপটে বর্তমান পৃথিবীতে যে কোন ইস্যুতে জনগণকে সম্পৃক্তকরণ সম্ভব হয় একমাত্র গণমাধ্যমের মাধ্যমে। যদি পৃথিবীর কেউ গণমাধ্যমকে সুপথে পরিচালনা করার জোর প্রচেষ্টা রাখি তাহলে প্রত্যেকটা দেশে জনগণের মধ্যে বাস্তব জীবনের উপলব্ধি ঘটবে। আর বাস্তব জীবনের উপলব্ধি থেকে জনসাধারণ সঠিক পথে থাকার সঠিক পথে চলার সঙ্গবদ্ধ মানসিকতা পাবে। পৃথিবীর যেকোন দেশে গণমাধ্যমের চোখে আঙ্গুল দিয়েছে যে দেশে সে দেশ অচিরেই ধ্বংসের মহাসাগরে ডুবে গেছে। গণমাধ্যমকে কটাক্ষ করে পৃথিবীর কোন দেশ স্থির থাকতে পারেনি। বর্তমান পৃথিবীতে গণমাধ্যমকে সঠিক সহযোগিতা সঠিক সহমর্মিতা সঠিক পথ চলার দিকনির্দেশনা যদি পায় জনগণের যত অনৈতিক কর্মকান্ড আছে সকল অনৈতিক কর্মকান্ডকে থামিয়ে দিতে এবং সকল কর্মকান্ডের সঠিক ফলাফল জনগণের মণিকোঠায় পৌঁছানোর মাধ্যমে হল গণমাধ্যম। কেউ যদি সময়ের ফেরে ব্যক্তিগত স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য বা ব্যক্তিগত চিন্তা চেতনা প্রতিষ্ঠা করার জন্য এই চিন্তা চেতনা বিভিন্ন কর্মের ফল ভালো হোক আর মন্দ হোক যদি ভালোর জন্য গণমাধ্যমকে ইঙ্গিত করে কটাক্ষ করে কথা বলে থাকে তাহলে গণমাধ্যমের প্রত্যেকটা সেক্টরভিত্তিক এর সংশোধনী নেওয়া উচিত সংশোধন হওয়া উচিত। আর যদি গণমাধ্যমের কন্ঠরোধ করে গণমাধ্যমকে স্তব্ধ করে গণমাধ্যমের শক্তিকে দুর্বল করানোর জন্য গণমাধ্যমকে সঠিক পথ থেকে বিচ্যুত করার জন্য কেউ কটাক্ষ করে কথা বলে তাহলে সেটা হবে জাতির জন্য সবচেয়ে বড় ক্ষতির বিষয়। সেই ক্ষতিটা উথলিয়ে দেওয়ার জন্যই সেই ক্ষতিটাকে প্রতিষ্ঠা করার জন্যই ব্যক্তি স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে গণমাধ্যমকে কটাক্ষ করে কথা বলে থাকে গণমাধ্যমকে গণমাধ্যমের কর্মীদেরকে রক্তচক্ষুভাব দেখাতে চায় সেটা ভুল হবে। কয়েকবছর ধরে বাংলাদেশ গণমাধ্যমের গলা চেপে ধরে আছে সেটা দেশের সমগ্র সচেতন মহল থেকে শুরু করে সাধারণ জনগণ জানে। সাংবাদিকদের নিয়ে নদী রক্ষা কমিশন চেয়ারম্যানের আপত্তিকর মন্তব্য চাঁদপুর প্রেসক্লাব ও টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরামের তীব্র নিন্দা প্রতিবাদ খবর প্রকাশ করে পহেলা এপ্রিল দৈনিক শপথ পত্রিকায়। নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যানের সাড়ে তিন মিনিটের অধিক সময় ধরে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে যে বক্তব্য দিয়েছেন তা তিনি কি বোঝাতে চেয়েছেন সাংবাদিকরা অর্থাৎ গণমাধ্যমকর্মীরা চাঁদপুর জেলার সকলেই বুঝতে পেরেছে। আশা করি তা না হলে সাংবাদিক গণমাধ্যমকর্মী গুটিকয়েক ব্যতীত প্রত্যেক সাংবাদিক যেকোনো এক লাইন বক্তব্য থেকে বিশদ আলোচনা তৈরি করার যোগ্যতা রেখেই তারা গণমাধ্যমকর্মী সাংবাদিকতার কাজে থাকে। যদি একটি দেশের গঠনতন্ত্রের চতুর্থ পিলার গণমাধ্যম হয়ে থাকে তাহলে নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান আপত্তিকর মন্তব্য করার শক্তি টা কোথা থেকে আসলো? কোন কারণে আসলো সেটা প্রকাশ হওয়া দরকার। গণমাধ্যম ফলাও করে সেটা প্রকাশ করা উচিত। গণমাধ্যম তার মন্তব্য থেকে যদি গণমাধ্যমকর্মীদের কোন আপত্তিকর কর্ম থেকে থাকে তাহলে সংশোধন হওয়া উচিত। যদি আপত্তিকর গণমাধ্যমের সম্পৃক্ততা না থাকে নদী রক্ষা কমিশন চেয়ারম্যানের গায়ে লাগার মতো হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই তা গণমাধ্যমে প্রকাশ করে তথা উচিত ব্যবস্থা করা সময়ের দাবি। বেশিরভাগ গণমাধ্যমকর্মীদের এই পেশাটি গ্রহণ করে থাকে জনসেবায় নিজেকে সম্পৃক্ত করার জন্য। বেশিরভাগ গণমাধ্যমকর্মীরা কোন ব্যক্তিগত কর্মসংস্থান তৈরি করে গণমাধ্যমে সম্পৃক্ত হয়ে থাকে। কারণ গণমাধ্যম কর্মীদের উপর যদি কেউ তার ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য আঘাত করে তাহলে অবশ্যই আঘাত পাল্টা জবাবে তার মুখোশ উন্মোচন করা গণমাধ্যমকর্মীদের দায়িত্ব। এটাই সচেতন মহল এবং দেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের একান্ত দাবি।