স্টাফ রিপোর্টার:
দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে নিহত চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিক উল্লাহর জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ ধরনের হত্যাকান্ড যেন আর না ঘটে সেজন্য সবাইকে সতর্ক ও সচেতন থাকার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী।
নির্মমভাবে ছুরিকাঘাতে নিহত চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগ সদস্য ও বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিক উল্লাহর মরদেহে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদনসহ খুনীদের বিচার হবে বলে আশ্বস্ত করেছেন চাঁদপুরের এই কৃতি সন্তান ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা বাবু সুজিত রায় নন্দী।
এ সময় তিনি জানাজা পূর্ববর্তী বক্তব্যে বলেন, এই নির্মম হত্যাকান্ডের বিচার হতে হবে দৃষ্টান্তমূলক। তার হত্যার ব্যাপারে এবং এই ধরনের অপরাজনীতি, মানুষের প্রাণহানি ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আমরা এক ও অভিন্ন। খুনী যেই হোক তাকে কোনভাবেই ছাড় দেয়া হবে না বলে সুজিত রায় নন্দী শোক সন্তপ্ত পরিবারবর্গের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন এবং মরহুমের চিরশান্তি কামনায় প্রার্থনা করেন।
জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তাফাজ্জল হোসেন এসডু পাটোয়ারীর পরিচালনায় জানাজার পূর্বে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাসির উদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটোয়ারী দুলাল, জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও প্রশাসক ওচমান গণি পাটোয়ারী, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এড. জহিরুল ইসলাম, বাগাদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেন গাজী বিল্লাল, মোঃ আলী প্রমুখ। এসময় দলের ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ, জনপ্রতিনিধিসহ বিপুল সংখ্যক মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
জানাজার নামাজ শেষে বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিক উল্যাহ পাটওয়ারীর কফিনে পুস্পার্ঘ অর্পনের মধ্য দিয়ে শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন সুজিত রায় নন্দী।
উল্লেখ্য, নিহত রফিক উল্লাহ ছিলেন মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে চাঁদপুরের প্রথম শহীদ পরিবারের সন্তান। তার বড় ভাই বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ শহীদ উল্লাহ জাবেদ মুক্তযুদ্ধে চাঁদপুরে প্রথম শহীদ। তিনি বিএলএফ কমান্ডার ছিলেন। তার স্মৃতির সম্মানার্থে চাঁদপুরে ‘শহীদ জাবেদ স্কুল’, ‘শহীদ জাবেদ সড়ক’ এবং অন্যান্য বেশকিছু স্থাপনা রয়েছে।