সম্পাদকীয়
বাংলাদেশের খাদ্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে বহুমুখী পদক্ষেপের ব্যাপক মাধ্যম হল বেকারি শিল্প। বেকারি পদ্ধতিকে ব্যবহার করে বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশ ও পিছিয়ে নেই। উন্নত বিশ্বের বেকারি শিল্পের সর্বোচ্চ মাননিয়ন্ত্রণ এবং স্বাস্থ্যসম্মত বিষয়গুলো ১০০% নিশ্চিত করা হয়। কিন্তু বাংলাদেশ এই বিষয়ে অত্যাধুনিক সময় এসেও অনেক পিছিয়ে। বাংলাদেশের বেকারি শিল্পের উৎপাদিত খাবার একসময় শহরে চলতো। কিন্তু বর্তমানে প্রত্যন্ত অঞ্চলে এসব বেকারি শিল্পের খাবার দেদারসে বিক্রি হচ্ছে। গ্রামগঞ্জে পল্লীতে পল্লীতে সকল খাবারের দোকানে বেকারি কোম্পানিরা সরবরাহ করে থাকে। কিন্তু জনগণ এসকল পণ্য নির্দ্বিধায় কিনে খাচ্ছে। তা কিভাবে উৎপাদিত হচ্ছে সে খবর জনগণের মোটেই জানা নেই। মাঝে মাঝে বাংলাদেশের বিভিন্ন গণমাধ্যম এসকল বিষয়ে তথ্য প্রকাশ করে থাকলেও প্রশাসনিকভাবে ব্যাপক পর্যবেক্ষণের অভাবে বেকারি শিল্পের খাদ্য উৎপাদনের মান নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে না। যার ফলে সকল মান অনিয়ন্ত্রিত খাবার খেয়ে প্রতিবছর হাজার হাজার মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ে। তেমনি এক সংবাদ প্রকাশ করেছে দৈনিক শপথ পত্রিকায় ১৯ সেপ্টেম্বর মোহিনিয়া বেকারিতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার উৎপাদন করা হচ্ছে। দেশের জনগণ বর্তমানে এ সকল খাবারের প্রতি বেশি ঝুঁকে আছে। শিশু কিশোর আবাল বৃদ্ধ বনিতা বেশিরভাগ লোকই এসকল খাবারের উপরে আকৃষ্ট হয়ে আছে। সব খাবারের আয়োজন এ সকল বেকারি করে থাকে। মূলে এ সকল খাবার গম জাতীয় এবং ভুট্টা জাতীয় সর্ষের আটা ময়দার মাধ্যমে তৈরি করে থাকে। সাথে সাথে ব্যাপক পরিমাণ কেমিক্যাল ব্যবহার করে থাকে তার ওপর অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ এ সকল খাবার কে আরো ঝুঁকিপূর্ণ করে দিচ্ছে। ফলে সাধারণ মানুষের অগোছরে রয়ে যাচ্ছে এ সকল খাবারের উৎপাদন প্রক্রিয়া। ফলশ্রæতিতে কি খাচ্ছে তা জনগণ মোটেও খবর রাখছে না। তবে দেশের ভোক্তা অধিকার আইনে এই বিষয়কে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তত্ত¡াবধানে রাখার কথা ছিল। যদিও মাঝে মাঝে ঝটিকা তল্লাশিতে সকল বিষয়ে সরকারের দৃষ্টিগোচর হয় কিন্তু তা বেশিদিন স্থায়ী হয় না। আবার সেই পুরনো পদ্ধতিতে ফিরে যায়। বাংলাদেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয় অভিযান পরিচালনা হলেও কেন জানি এ সকল অভিধানের ফল বেশিদিন স্থায়ী হয় না। এর পিছনে কি রহস্য অনুধাবন করা তা মোটেও কঠিন ব্যাপার নয়। সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তর এই বিষয়ে গুরুত্ব দিবে এবং জনগণের বেকারি শিল্পের খাবারের উপর ব্যাপকভাবে অভিযান পরিচালনা করে জনগণকে ঝুঁকিমুক্ত খাদ্য গ্রহণের ব্যবস্থা করবে বলে সচেতন মহলের দাবি।