সম্পাদকীয়
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতি গঠনের কেন্দ্র বিন্দু। বাংলাদেশ বিভিন্ন ক্যাটাগরির শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। প্রাথমিক থেকে স্নাতক ডিগ্রি পর্যন্ত বিদ্যাপীঠ রয়েছে। এসকল বিদ্যাপীঠের মধ্যে প্রাথমিক বিদ্যালয় নি¤œ মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাধ্যমিক বিদ্যালয় উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষা ব্যবস্থা চালু রয়েছে। সরকার যথাযথ উপযুক্ত পরিমাণে এ সকল প্রতিষ্ঠান শিক্ষক নিয়োগ দিয়েছেন। শ্রেণী ভিত্তিক শিক্ষা বিশেষ করে পাঠদানের মাধ্যমে এ সকল প্রতিষ্ঠানে শিক্ষাব্যবস্থা করা হয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষকদের অবারিত শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশের কার্যক্রম চালু থাকা সত্তে¡ও কোচিং বাণিজ্য সায়লভ রয়েছে। একজন শিক্ষক যথাযথভাবে তার পাঠদান শ্রেণিকক্ষে প্রধান করলে শিক্ষার্থীকে প্রাইভেট পড়ানোর মানসিকতা কিভাবে পায় সেটা খতিয়ে দেখার বিষয়। শ্রেণিকক্ষে শিক্ষকের পাঠদান যদি যথাযথ হয়ে থাকে কোন শিক্ষার্থী প্রাইভেট পড়ার কথা নয়। যখন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকের কাছে শিক্ষার্থীদেরকে প্রাইভেট পড়তে হয় এর বিশেষ একটা কারণ রয়েছে। শিক্ষার্থী তার বিদ্যালয়ে গিয়ে শ্রেণিকক্ষে শিক্ষা গ্রহণ করবে। কোন বিষয়ে যদি তার বুঝতে সমস্যা হয় শিক্ষক থেকে নির্ভয়ে প্রদানের মাধ্যমে শ্রেণিকক্ষে শিক্ষকের কাছ থেকে বুঝে নেয়ার পরিবেশ তৈরি করতে হবে। যদি শিক্ষার্থীকে শ্রেণীকক্ষে পাঠ বুঝে নেয়ার পরিবেশ বিদ্যমান থাকতো তাহলে শিক্ষার্থীকে বিদ্যালয়ের বা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকের কাছে প্রাইভেট পড়তে হতো না। ৩ আগস্ট দৈনিক শপথ পত্রিকায় প্রকাশ হয়েছে শিক্ষকরা নিজের ক্লাসের কোন শিক্ষার্থীকে কোচিং এ পড়াতে পারবেন না। বলেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তবে কিছু কথা শিক্ষার্থীদের মুখ থেকে শোনা যায় যা পরিবারের সদস্যদের কাছে তারা ব্যক্ত করে থাকে। সেটা হল প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকের কাছে যদি প্রাইভেট পড়া হয় তাহলে তার পরীক্ষায় ভালো নাম্বার পাওয়ার একটা ব্যবস্থা রয়েছে। এমনকি শোনা যায় যে আমার শ্রেণিকক্ষে যে শিক্ষক আমাকে পড়ান তার কাছে প্রাইভেট না পরলে আমার পরীক্ষার ফলাফল ভালো হবে না। বাইরের কোন ব্যক্তির কাছে প্রাইভেট পড়লে সে খবর যদি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক জানতে পারে তাহলে ওই শিক্ষার্থীর উপর পরীক্ষার ফলাফলের ক্ষেত্রে একটা ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়। এটা কতটুকু বাস্তবসম্মত যদিও সেটা প্রমাণ করা সহজতর নয়। তবে ভাসমান কিছু কথা শিক্ষার্থীদের থেকে বেরিয়ে আসে সেটা হল বাহিরের কোন শিক্ষকের কাছে যদি প্রাইভেট পড়া হয় তাহলে ওই শিক্ষার্থীর প্রতি শ্রেণি শিক্ষকের শিক্ষক একটা কটু দৃষ্টি পরিলক্ষিত হয়ে থাকে। তাই শিক্ষক পাঠদানের যথাযথ ব্যবস্থা করবে শ্রেণিকক্ষে। আর যদি শিক্ষার্থীকে প্রাইভেট পড়তে হয় তাহলে প্রতিষ্ঠান বাইরে সে তার সময় করে প্রাইভেট পড়বে। অনেক সময় দেখা যায় প্রাইভেট পড়ুয়া শিক্ষার্থীকে শ্রেণি শিক্ষক পরীক্ষার সময় নির্দিষ্ট কয়েকটি বিষয়ের উপরে পড়তে দিয়ে থাকে নোট দিয়ে থাকে যার মাধ্যমে শিক্ষার্থী অল্প সময়ের মধ্যে পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিতে পারে। যারা শ্রেণি শিক্ষকের কাছে প্রাইভেট পড়তে পারে না তারা সেই সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়। যদিও এটা একটা সুযোগ বাস্তবে এটা একটা শিক্ষার অপকর্ম। এ অপকর্ম রোধে সরকারের বিভিন্ন সময় বিভিন্ন নির্দেশনা থাকা সত্তে¡ও কেন কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অথবা বিদ্যালয়ের শ্রেণী শিক্ষক প্রাইভেট পড়াবেন বা কোচিং করাবেন। এছাড়া যারা আর্থিকভাবে দুর্বল বা যার ফ্যামিলি প্রাইভেট পড়ানোর সামর্থ্য রাখে না তারা মনঃক্ষুন্ন হয়ে থাকে। ফলে তাদের লেখাপড়ায় অমনোযোগিতার সৃষ্টি হয়। সেটা সংশ্লিষ্ট দপ্তর গুরুত্ব দেবেন বলে অভিভাবক শ্রেণীর একান্ত দাবি।