সম্পাদকীয়
ফসলের মাঠের ফসল বপন থেকে শুরু করে ফসলের সার্বিক পরিস্থিতি সুন্দর হলে যথাযথ ব্যবস্থাপনা কার্যকর থাকলে দেশের কৃষিতে ব্যাপক উন্নতি সাধন সম্ভব হয়েছে এবং হতে থাকবে। বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিশেষ করে মৌসুম ভিত্তিক ইরি-বোরো ধানের চাষ করা হয়। চাষের ক্ষেত্রে যথাযথ ব্যবস্থা এবং চারা রোপণ থেকে শুরু করে পানির পর্যাপ্ত পরিমাণ পরিচর্যা সম্পন্ন হলে ফসলের মাঠ সোনালী আভায় ভরে যায়। ১৪ এপ্রিল দৈনিক শপথ পত্রিকায় প্রকাশ মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের মাঠ জুড়ে দুলছে কৃষকের সোনালী স্বপ্ন। স্বপ্ন প্রকৃতির খেলায় যদি টিকে যায় তাহলে স্বপ্নে বলব আর যদি প্রকৃতি ধাক্কায় ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় তাহলে তো আর স্বপ্ন থাকবে না। তবে স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করার জন্য ডিজিটাল পদ্ধতির হারভেস্টারের মাধ্যমে দ্রæত ধান সংগ্রহের কাজ করার গেলে হয়তো স্বপ্ন বাস্তবে রূপ নিবে। কিন্তু হারভেস্টার প্রক্রিয়াটা চড়া মূল্যের কারণে বেশিরভাগ কৃষকের সহজে ধান সংগ্রহ করা হয় না। ভর্তুকি মূল্যের বাহিরেও অনেক টাকার প্রয়োজন কয়েকজন কৃষক মিলে এমন হারভেস্টার মেশিন সংগ্রহ করা বর্তমান প্রেক্ষাপটে সম্ভব নয়। তবে সরকারের সদিচ্ছা থাকলে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সরকার হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয় করছে যদি ওয়ার্ড ভিত্তিক একটি করে হারভেস্টার মেশিন সরকারের পক্ষ থেকে প্রদান করা হয় তাহলে জনগণের ধান গম ২ মৌসুমী ফসল উৎপাদনে আমূল পরিবর্তন আসবে। কারণ ধান এবং গম এই দুটি ফসল সংগ্রহের ক্ষেত্রে বিভিন্ন রকম প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং বিড়ম্বনা সহ্য করতে হয়। এ তো গেল চাঁদপুর ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের এলাকার কথা। কিন্তু বিএডিসির অধীন বিভিন্ন এলাকায় যথাযথ পানির ব্যবস্থা না করে বলতে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানির ব্যবস্থা না রেখে বিএডিসি সেচ প্রকল্প কৃষকের গলায় ফাঁসির মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে জেলা কৃষি অধিদপ্তর উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর এই বিষয়ে গুরুত্ব দেয়া জরুরি হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে কচুয়া উপজেলার ৯নং কড়ইয়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডে নতুন বিএডিসি সেচ প্রকল্পে পর্যাপ্ত পানির অভাবে কৃষকের মাঠের ধান সোনালী আভায় দুলছে না। সংশ্লিষ্ট দপ্তর এ বিষয়ে জরুরিভিত্তিতে গুরুত্ব দেয়ার জন্য কৃষকদের একান্ত দাবি।