শরীফ মোঃ মাছুম বিল্লাহ/মোঃ সবুজ হোসাইন:
সারাদেশের ন্যায় হাইমচরেও শীত জেঁকে বসেছে। গত বৃহস্পতিবার থেকে সূর্যের দেখা মেলেনি। সেই সঙ্গে ঘন কুয়াশায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। ফলে অস্বচ্ছল, হতদরিদ্র পরিবার শীতের পোশাকের অভাবে দুর্বিষহ দিনাতিপাত করছেন। অনেকেই জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বেরও হচ্ছেন না। এমতাবস্থায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে খেটে খাওয়া অসহায় মানুষ।
হাইমচর উপজেলার বেশ কয়য়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সকাল গড়িয়ে গেলেও দোকান খোলেননি ব্যবসায়িরা।তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছে নদীর তীরবর্তী এলাকার মানুষ। গরম কাপড়ের অভাবে তীব্র শীতে ভুগছে নি¤œ আয়ের মানুষও। অনেকে খড়কোটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন।
জীবন-জীবিকার তাগিদে কনকনে শীতকে উপেক্ষা করেই কাজে বের হতে হচ্ছে এ উপজেলার খেটে খাওয়া মানুষের। এর মধ্যে মেঘনা নদীর পশ্চিম পাড়ে চরা ল তথা সাহেবগঞ্জ, মিয়ার বাজার, মাঝির বাজার ও গাজীপুর চরের মানুষ বেশি বিপাকে পড়েছেন। এসব এলাকার আশপাশ জুড়েই মেঘনা নদী বয়ে গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত দুইদিন ধরেই সর্বত্র সকাল থেকে রাত পর্যন্ত শীতের তীব্রতা থাকায় বিপাকে পড়ছেন কর্মজীবীসহ নি¤œ আয়ের মানুষ। উপজেলার চরা লের মানুষ আরও বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন। শীতের দাপটে সন্ধ্যার পর থেকে পরের দিন বেলা ১১/১২টা পর্যন্ত হাইমচরের বিভিন্ন বাজার জনশূণ্য থাকে।
এদিকে দুই দিন ধরে শীতের কারণে মাঠ-ঘাট ও ফসলের ক্ষেতে তেমন দেখা যায়নি দিনমজুর বা কৃষকদের। উপজেলা সদর আলগী বাজারসহ বিভিন্ন আ লিক সড়কে রিকশা, ভ্যান-ইজিবাইকের সংখ্যাও কমে গেছে। এছাড়াও তীব্র শীতের প্রভাবে উপজেলায় শিশু ও বয়স্ক রোগীদের চাপ বেড়েছে। হাসপাতালেও নিউমোনিয়াসহ বিভিন্ন রোগীর ভিড় দেখা গেছে।
উপজেলার আদর্শ শিশু নিকেতন স্কুল শিক্ষক শরীফ গাজী জানান, সকালে এত ঠান্ডা আর কুয়াশা, সামনে কিছুই দেখা যায় না। সেই সঙ্গে বইছে বাতাস। তাই আমাদের এখানে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ বের হচ্ছে না। এখানে যারা দিনমজুর তাদেরও অনেক ক্ষতি হচ্ছে।
চরভাঙ্গা গ্রামের ইয়াছিন কাজী বলেন, গত দুই দিন আকাশে সূর্যের দেখা নেই। দুই দিন ধরে যেমন শীত তেমন বাতাস। বাতাসের কারণে ঘর থেকে বের হওয়া মুশকিল হয়ে পড়ছে। খুব কষ্টে দিন কাটছে আমাদের। আগে শীত আসলে অনেকে কম্বল দিতো, এখন সেটাও দেয় না। সরকারি কিছু কম্বল বা শীতবস্ত্র আসলে সেগুলো আমাদের মত গরীবের ভাগ্যে জুটে না। উপজেলা প্রশাসন থেকেও কোনও সহযোগিতা পাইনি।
মেঘনা পাড়ের বাসিন্দা আবদুল কুদ্দুস পাটওয়ারী বলেন, ঠান্ডার কারণে দুই দিন কাজে যাইনি। আজ নিরূপায় হয়ে কাজে বের হয়েছি। বাড়িতে গরম কাপড় নেই। কিন্তু ঠান্ডা উপেক্ষা করে কাজ না করলে পরিবার নিয়ে না খেয়ে থাকতে হবে।
এদিকে গত শুক্রবার বিকেলে মাত্রাতিরিক্ত শ্বৈত্য প্রবাহে অস্বচ্ছল হতদরিদ্র পরিবারের মানুষকে কিছুটা উষ্ণতা দিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার চাই থোয়াইহলা চৌধুরীর তত্ত¡াবধানে চাঁদপুর জেলা প্রশাসক মোঃ কামরুল হাসান কম্বল বিতরণ করেন।
আজ,
শনিবার , ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ , ৮ আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।