মেহেদী হাসান দিপু, ঢাকা:

ঢাকার কাজলায় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন গৃহবধূ সাদিয়া সুলতানা (২৩)। এ ঘটনায় পুলিশ প্রধান আসামি হিসেবে সাদিয়া সুলতানার স্বামী রবিউল আলমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রাজধানী ঢাকার কাজলায় (মৃত)আবুল বারেক এবং শামসুন্নাহার সামিরুনের ছেলে রবিউল আলমের সাথে ৫ বছর আগে পারিবারিক ভাবে সাদিয়া সুলতানার বিয়ে হয়। বিয়ের ২ বছরের দাম্পত্ত জীবনের একপুত্র সন্তান আসে।
তারপর থেকে হঠাৎ করেই স্বামী স্ত্রীর মাঝে বনিবনা হচ্ছে না। এ সুযোগে স্বামীর সাথে একত্রিত হয়ে-শ্বাশুড়ি এবং ননস শাহিনুর আক্তার সাদিয়ার ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করে। সবশেষ গত ১০মে (রবিবার) সাদিয়াকে স্বামী-শ্বাশুড়ি নির্যাতন করে এবং এতে সাদিয়া মাথায় মারাত্মক আঘাত পায়। মাথার ফাটা স্থানে চারটি সেলাই দিতে হয়।
এ ঘটনার পর ১৩মে (বুধবার) সন্ধার পর গৃহবধূ সাদিয়া সুলতানা নিজ ঘরে ফ্যান এর সাথে ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যা করেন। ঘটনার সময় পাশের রুমে ছিলেন শাশুড়ী শামসুন্নাহার। স্বামী রবিউল বাসায় ছিলেন না। রাত ৯ টায় যাত্রাবাড়ী থানার পুলিশ ৯৯৯ ফোন কলের মাধ্যমে কাজলা উত্তরপাড়া পানির পাম্প সংলগ্ন এলাকা থেকে ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে। ১৪ মে (বৃহস্পতিবার) সকাল সাড়ে ১০টায় প্রধান আসামি হিসেবে রবিউল আলমের নামে ৩০৬/৩৪ ধারায় মামলা করা হয়। মামলা নম্বর-১২। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাত ১০ টার দিকে পুলিশ আসামি রবিউল আলমকে আটক করে। অভিযুক্ত রবিউল আলম তার স্ত্রীর ওপর নির্যাতনের কথা অস্বীকার করে বলেন, ঘটনার সময় তিনি তার কর্মস্থলে ছিলেন।
যাত্রাবাড়ী থানার উপ-পরিদর্শক জহুরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বিষয়টি আত্মহত্যা নাকি হত্যাকাণ্ড তা শনাক্ত করার জন্য লাশ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে এবং তদন্তের সঠিক রিপোর্ট অনুযায়ী আসামির শাস্তি নির্ধারণ করা হবে।