সম্পাদকীয়
করোনাভাইরাস সংক্রমণের বিস্তার ঠেকাতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জারি করা নতুন বিধিনিষেধ সম্বলিত এক প্রজ্ঞাপণেও স্কুল, কলেজ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে। স্কুলের শিক্ষার্থীদের সংক্রমণ হার বেড়ে যাচ্ছে বলে এই সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। অনেক ছাত্র-ছাত্রীরা আক্রান্ত হচ্ছে এবং তারা ডাক্তারের কাছে যাচ্ছে চিকিৎসার জন্য। এটা আশঙ্কাজনক বলেই এমন সিদ্ধান্ত। সংক্রমণ ঠেকাতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার পাশাপাশি যে কোনো সামাজিক, রাজনৈতিক বা ধর্মীয় অনুষ্ঠানে একশজনের বেশি জনসমাগম করা যাবে না উল্লেখ করে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তবে ঘোষনা অনুযায়ী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেলেও বাকি নির্দেশনা কতটা মানা হচ্ছে তা নিয়ে রয়েছে প্রশ্ন।
অনুষ্ঠানে অংশ নিতে বাধ্যতামূলকভাবে টিকা সনদ সাথে রাখতে হবে এবং আগের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে করা পিসিআর টেস্টের রিপোর্ট সাথে রাখতে হবে বলে জানানো হয়েছে। অথচ কিভাবে এই নির্দেশনা পালিত হবে তা নিয়ে রয়ে গেছে প্রশ্ন। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সব পরিক্ষা স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে জানিয়ে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এই পরিক্ষা স্থগিত নিয়ে বিভিন্ন সেশনের শিক্ষার্থীদের অসন্তোষ প্রকাশ করতে দেখা গেছে। ঝুলে যাওয়া শিক্ষাজীবন নিয়ে তারা নানামুখী কথা বললেও এর দায় আসলে কার। করোনার ভয়াবহতা ঠেকাতে নির্দেশনা দিতেই হতো, তবে অন্যান্য সকল বিষয় বিবেচনায় নিয়ে এই নির্দেশনা দেয়া হলে আরো বেশি ফলপ্রসূ হতে পারতো বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।