সম্পাদকীয়
সর্বপরি আপনি আমাকে অবশ্যই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে। দুনিয়াবি স্বার্থের কারণে মানুষ দ্ব›েদ্ব জড়ায়। কিন্তু এমন দ্ব›দ্ব অর্থাৎ কবরস্থানের কাছে টয়লেট নির্মাণ কোনো ভাবেই কল্পনা করা যায় না। কারণ প্রতিটি কবরস্থানে আমাদের পূর্বসূরীরা শুয়ে আছেন। তাদের জন্যে মাত্র সাড়ে তিন হাত জায়গার পবিত্রতা রক্ষা করতে না পারলে ভবিষ্যতে আপনার আমার কি হবে অন্তত ভাবা উচিৎ।২৩ এপ্রিল শনিবার দৈনিক শপথ পত্রিকায় ফরিদগঞ্জের বাগপুরে কবরস্থানের পবিত্রতা নষ্ট করে টয়লেট নির্মাণের চেষ্টা \ ১৪৫ ধারা জারি শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ হয়। সংবাদে উল্লেখ করা হয়, একটি পক্ষ জোর করে দুই কবরস্থানের মাঝে টয়লেট নির্মাণ করছেন। শুধু টয়লেট নির্মাণ? না। এখানে লুকিয়ে আছে একটি পক্ষের স্বার্থ। অর্থাৎ ভূমি দখলের চেষ্টা। এক্ষেত্রে একটি পক্ষ বঞ্চিত হবে। আরেকটি পক্ষ জবর দখল করবে। অথচ কি দারুণ বিষয় মসজিদের জন্যে টয়লেট নির্মাণের বালাই দিয়ে ভূমি আত্মসাৎ নিশ্চয় এর অন্তরায়। না হয় ভূমি সংক্রান্ত মামলা জটিলতা নিরসণ না হওয়া পর্যন্ত মসজিদ কর্তৃপক্ষ কার জায়গায় এই টয়লেট নির্মাণ করছে তা স্পষ্ট নয়। তারপর আবার কবরস্থান লাগুয়া। তারপর রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়, যারা টয়লেট নির্মাণ করছে তাদের আচরণ উগ্র। সাংবাদিকদের সাথেও অসদাচরণ করতে কার্পণবোধ করেনি। যা কোনো ভাবেই প্রত্যাশিত নয়। এক্ষেত্রে অবশ্যই মসজিদ কমিটিতে আরো সর্তক হয়ে টয়লেট নির্মাণের আহ্বান জানাতেই পারে স্থানীয় সচেতন মহল। কারণ যতো কিছুই করুন সবশেষ আপনাকেও কবরে যেতে হবে। সে চিন্তা থেকে অন্তত কবরের পবিত্রতা রক্ষা করা আমার আপনার সকলের নৈতিক দায়িত্ব।