মোঃ রাছেল,কচুয়া:
আসন্ন কচুয়া পৌর নির্বাচনে মেয়র পদে লড়তে চান মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান, পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আকতার হোসেন সোহেল ভূইয়া। পৌর নির্বাচনকে সামনে রেখে তিনি সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে বিভিন্নভাবে আগাম নির্বাচনী প্রচার প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন। পাশাপাশি নির্বাচিত হলে পৌরবাসীর কল্যানে কি কি কাজ করবেন তার নানান প্রতিশ্রুতি তুলে ধরছেন ভোটারদের সামনে।
কচুয়া পৌরসভার নির্বাচনে মেয়র পদে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী, অন্যায়ের প্রতিবাদকারী, সৎ নির্বিক, কচুয়া রাজনীতির নক্ষত্র পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আকতার হোসেন (সোহেল) ভূইয়া পৌরবাসীসহ সর্বস্তরের মানুষের কাছে দোয়া ও আশির্বাদ কামনা করেছেন।
তিনি কচুয়া পৌরসভাকে একটি দারিদ্র্যমুক্ত ও আধুনিক পৌরসভায় পরিনত করতে বদ্ধ পরিকর। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে তার রাজনীতি জীবন শুরু। বর্তমানে তিনি রাজনীতির পাশাপাশি সমাজ সেবামূলক কাজে বেশ সক্রিয়। পাশাপাশি শিক্ষার উন্নয়নেও কাজ করছেন।
কচুয়া পৌর এলাকার বিভিন্ন লোকদের সাথে আলাপ করে জানা গেছে, পৌরসভার থেকে মেয়র পদে তিনিই অন্যতম যোগ্য প্রার্থী। এছাড়াও মেয়র পদে নির্বাচন করতে সামাজিক পারিবারিক ঐতিহ্য যা প্রয়োজন তার সব কিছুই বিদ্যমান রয়েছে। পরিচ্ছন্ন ব্যক্তি ইমেজ, আদর্শিক, সৎ ও নিবেদিত প্রাণ হিসেবে পৌরবাসীর মধ্যে তার পরিবারের একটা আলাদা গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে।
সোহেল ভূঁইয়ার দাদা মরহুম সুলতান আহম্মেদ ভূঁইয়া ১৯৪৯ সাল থেকে আওয়ামী লীগ রাজনীতির সাথে সর্ম্পৃক্ত। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যৃদ্ধের সময় মুক্তিযুদ্ধের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত হন ও মুক্তিযোদ্ধাদের পৃষ্ঠপোষকতায় অগ্রনী ভূমিকা পালন করেন। ব্যবসা জীবনে কচুয়ার বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী হিসাবে পরিচিতি ছিল, একে খান জুট মিলের হাজীগঞ্জ, কচুয়ার এজেন্সি ছিল। পিতা দেলোয়ার হোসেন ভূঁইয়া ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক হিসাবে কচুয়া ও হাজীগঞ্জ সরাসরি সম্পৃক্ত ছিলেন। চাচা মরহুম জাহিদ হোসেন ভূঁইয়া কচুয়া পৌরসভার প্রথম মেয়র ছিলেন। পারিবারিক ঐতিহ্যের দিক থেকে মেয়র পদে আকতার হোসেন (সোহেল) ভূঁইয়া প্রার্থী হলে তার বিজয় সুনিশ্চিত বলে মনে করছেন পৌরবাসী।
পৌরসভার সাধারন মানুষের প্রত্যাশা পূরনে নিরন্তন কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। তার পরিশ্রম, সাহস, ইচ্ছা শক্তি, একাগ্রতা, প্রতিভায় মুগ্ধ চাঁদপুর–১ কচুয়া আসনের সংসদ সদস্য সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড.মহীউদ্দীন খান আলমগীর এমপি।
সোহেল ভূঁইয়া মহামারি করোনাকালিন সময়ে ঘরবন্দি খেটে খাওয়া সাধারন মানুষের পাশে থেকে সাহায্যের হাত বাড়িতে দিয়েছেন। তিনি দল মত নির্বিশেষে করোনা নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করার লক্ষে দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে সচেতনতামূলক কার্যক্রম চালিয়ে গেছেন। নিজের চিন্তা না করে চিন্তা করেছিলেন কচুয়া পৌরবাসীর জন্য। দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে তিনি সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে মতবিনিময় সভাও করেছেন।
পৌরবাসীর সাধারণ মানুষের উন্নয়নে তার নিরন্তর প্রয়াসে সর্ব মহলে প্রশংসা কুড়িয়েছেন। তিনি সমাজ সেবক হয়ে পৌরসভার আলোকিত মুখ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে তাঁকে আওয়ামী লীগ থেকে নৌকা মার্কার মনোনয়ন দেয়া হলে পৌরবাসীর আশা আকাঙ্খার প্রতিফলন হবে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন।
মেয়দ পদে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন প্রত্যাশী মো. আকতার হোসেন সোহেল ভূঁইয়া বলেন, কচুয়া পৌরসভাকে আধুনিক ও মডেলে রুপান্তরিত করাই আমার লক্ষ্য। সাধারণ মানুষের ভালোবাসা ও দলীয় নেতাকর্মীদের সহযোগিতা পেলে কচুয়া পৌর নির্বাচনে মেয়র পদে নির্বাচন করবো। আমার বিশ্বাস বিগত দিনের রাজনৈতিক সার্বিক কর্মকান্ড পর্যালোচনা করে একজন ত্যাগী কর্মী হিসেবে দল আমাকে নৌকা প্রতীকে মূল্যায়ন করবেন। আমি নৌকা প্রতীক পেলে দলীয় সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নৌকার বিজয় উপহার দেব এবং মেয়র পদে নির্বাচিত হলে নিজের মেধা, বুদ্ধি দিয়ে ও পৌরবাসীর মতামতের ভিত্তিতে কচুয়া পৌরসভার প্রতিটি এলাকাকে সমান গুরুত্ব দিয়ে একটি বাসযোগ্য নগরী হিসেবে আধুনিক পৌরসভায় রূপদান করবো।
উল্লেখ্য, তিনি চাঁদপুর ও কচুয়া প্রেসক্লাবের আজীবন সদস্য, কচুয়া পৌর আওয়ামীলীগের সাবেক আহবায়ক ও কচুয়া হযরত শাহ নেয়ামত শাহ উচ্চ বিদ্যালয়ের আহ্বায়ক (এডহক) কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।