বিশেষ প্রতিনিধি:
চাঁদপুরের কচুয়ায় চাঁদা না দেয়ায় উপ-সহকারি প্রকৌশলী নূরে আলম ও সাব-কন্ট্রাক্টও ইসমাইল হোসেনকে পিটিয়েছে উপজেলা চেয়ারম্যান শাহজাহান শিশির ও তার অনুসারিরা। রোববার দুপুরে কচুয়া শহীদ স্মৃতি বালিক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, কচুয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহজাহান শিশির ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কনটেম্পরারি অনন্ত ট্রেডার্স (জ.বি) এর নিকট ২০লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দিতে রাজি না হওয়ায় ঠিকাদার আশ্রাফুল আলম রণি এবং সাব-কন্ট্রাক্টও ইসমাইল এর উপর হামলা চালায় চেয়ারম্যান শিশির ও তার কিছু উগ্রকর্মী। এসময় কচুয়া উপজেলা শিক্ষা প্রকৌশল বিভাগের উপ-সহকারি প্রকৌশলী নূরে আলমও অর্তকিত হামলার শিকার হন।
এ বিষয়ে সাব-কন্ট্রাক্টও ইসমাইল হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার ১৬জুলাই শহীদ স্মৃতি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে গাছের চারা রোপন করতে এসে ছয়তলা ভবনের কাজের ঠিকাদার কে জানতে চান। প্রথমে সাব কন্ট্রাক্টরকে খোঁজ করেন। এসময় আমি এগিয়ে গিলে আমার পরিচয় দিলে তিনি গালে জোরছে থাপ্পর মেরে বলেন, কনট্রাক্টর কে? মেইন কন্ট্রাক্টরকে বল আমার সাথে দেখা করতে। দেখা না করা পর্যন্ত কোনো কাজ হবে না। কাজ বন্ধ থাকবে বলে কর্মরত ৪৫জন শ্রমিক বের করে দেন চেয়ারম্যান শাহজাহান শিশির। এরপর গতকাল রোববার ১৯জুলাই দুপুরে উপজেলা চেয়ারম্যান, উপ-সহকারি প্রকৌশলী নূরে আলম, ঠিকাদার আশ্রাফুল আলম রণি এবং আমি উপস্থিত হই। এসময় হুট করেই চেয়ারম্যান ও তার ১০-১২জন অনুসারি উপ-সহকারী প্রকৌশলীসহ সবার উপর হামলা চালায়। ঠিকাদার কোনো মতে দৌড়ে প্রাণে বাঁচেন। পরে ঘটনা কিছুটা স্বাভাবিক হলে চেয়ারম্যান কাজ করতে হলে ২০লাখ টাকা দেয়ার শর্ত জুড়ে দেন। কিন্তু ঠিকাদার এতে রাজি না হওয়ায় আরো ক্ষেপে যান চেয়ারম্যান। কোনো মতে সেখানে থেকে আমরা ফেরত আসি। সকল ঘটনা কচুয়া উপজেলা নির্বার্হী কর্তকর্তাও পর্যবেক্ষণ করেছেন।
এ বিষয়ে চেয়ারম্যান আশ্রাফুল আলম রণি জানান, বৃহস্পতিবার অভিযোগ করা হয় কাজে ভালো মালামাল দেয়া হচ্ছে না। তাই উপজেলা চেয়ারম্যান শাহজাহান শিশির কাজ বন্ধ করে দেন। রোববার সাইট পরিদর্শনে যান উপজেলা নির্বার্হী কর্মকর্তা ও ইঞ্জিনিয়র। এমন সময় লোকজন নিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান মাঠে ঢুকে। ঢুকেই গালাগালি শুরু করেন। এসময় ইউএনওকে ঘুষি মারতে ত্যাড়ে আসেন। এসময় ইউএনও মাস্ক সরিয়ে চিনে ফেলেন তখন আর আঘত করেনি। কিন্তু উপ-সহকারী প্রকৌশলীকে পেয়ে কিল ঘুষি থাপ্পর মারতে শুরু করেন। তিনি খুব বাজে ব্যবহার করেন। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে।
কচুয়া উপজেলা শিক্ষা প্রকৌশল বিভাগের উপ-সহকারি প্রকৌশলী নূরে আলম জানান, চেয়ারম্যান নিজে আমার উপর আঘাত করেছে। আমি আমার উধ্বর্তনদের বিষয়টি জানিয়েছি। সিদ্ধান্ত আসলেই পরবর্তি পদক্ষেপ নেয়া হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান শাহজাহান শিশির সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করার হলেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।