কচুয়ায় সুমাইয়া আক্তার (১৪) নামের এক দশম শ্রেণির স্কুল শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। খবর পেয়ে শনিবার রাতেই কচুয়া থানার এসআই আব্দুর রাজ্জাক ঘটনাস্থলে পৌছে তার মৃতদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। সে উপজেলার বিতারা ইউনিয়নের যোগিচাপুর লাল মিয়া বেপারী বাড়ির শহিদউল্লার দ্বিতীয় মেয়ে।
সুমাইয়ার বাবা শহীদউল্লাহ জানান, সুমাইয়া উপজেলার তেগুরিয়া ওবায়েদুল হক উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির ছাত্রী। ৫ মেয়ে ১ ছেলের মধ্যে সে দ্বিতীয়। অভাবের সংসারে স্ত্রী ও এক মেয়েকে নিয়ে নারায়নগঞ্জে বসবাস করে আসছি। আমি নারায়নগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় রাজমিস্ত্রির কাজ করি। আমার স্ত্রী রহিমা বেগম একটি গার্মেন্টেসে কাজ করে। ৪ মেয়ে ও ১ ছেলে আমার মায়ের কাছে থেকে লেখাপড়া করে আসছিল। আমি প্রতি শুক্রবার বাড়িতে এসে তাদের দেখাশুনা করি। প্রায় তিন মাস পূর্বে পেটে ব্যাথা অনুভব করে।
পরে তাকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গায় ডাক্তার দেখিয়ে চিকিৎসা করাই। রোগের উপশম না হওয়ায় রাগে অভিমানে শনিবার রাতে সুমাইয়া সবার অগোচরে নিজ ঘরে বৈদ্যুাতিক পাখার সাথে ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যা করে সে।
সরজমিনে গেলে স্থানীয়রা জানায়, অসুস্থ্য সুমাইয়ার পরিবার তার সু-চিকিৎসা করাতে না পারায় অভাব অনটনের সংসারে অভিমান করে সে আত্মহত্যার এ পথ বেচে নেয়।
কচুয়া থানার ওসি মো. মহিউদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ফোর্স পাঠিয়ে স্কুল ছাত্রীর মৃতদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসি। এব্যাপারে কচুয়া থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ চাঁদপুর মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
মোঃ রাছেল