স্টাফ রিপোর্টার:
কচুয়ায় স্কুল ছাত্রী জান্নাতুল নাঈম মিশু হত্যা মামলার প্রধান আসামী সজীব হোসেন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্ধি দিয়েছে। অন্যতম দ্বিতীয় আসামী নূর আলমকে পাঁচদিন রিমান্ড মঞ্জুর করেছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছন চাঁদপুর কোর্ট ইন্সপেক্টর মোঃ মহীউদ্দীন।
এরআগে গত সোমবার মিশু হত্যার সাথে জড়িত এই দুইজনকে আটক করা হয় । মঙ্গলবার দুপুরে এবিষয়ে কচূয়া থানায় প্রেস ব্রিফিং করে পুলিশ।
ব্রিফিং শেষ কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ ওয়ালী উল্লাহ অলি জানান, দুই আসামীর মধ্যে একজন ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত থাকার কথা স্বীকার করেছে। কিন্তু অপর আসামী নূর আলম দায় স্বীকার করেনি। যে কারণে তার বিরুদ্ধে রিমান্ড আবেদন করার প্রস্তুতি নেয়া হয়।
এর আগে বড় হায়াতপুর গ্রামের দক্ষিণ পূর্ব পাশের ধানি জমির বিল থেকে জান্নাতুল নাঈম মিশু(১৪) নামের এক স্কুল ছাত্রীর লাশ উদ্ধার করা সহ ঘাতক নুর আলম ও সজীব হোসেনকে গ্রেফতার করেছে কচুয়া থানা পুলিশ। মিশু বড় হায়াতপুর গ্রামের আরব প্রবাসী হানিফের কন্যা। সে স্থানীয় চাঁদপুর এম এ খালেক উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী। গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে- ফরিদগঞ্জ থানাধীন গাব্দেরগাঁও গ্রামের আমির হোসেনের পুত্র সজীব(১৯, বর্তমানে সে বড় হায়াতপুর গ্রামে তার নানার বাড়িতে বসবাস করে) ও বড় হায়াতপুর গ্রামের মনির হোসেনের পুত্র নুর আলম(২৫)।
মিশুর পারিবারিক সুত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার (৩১ জুলাই) দুপুরে মিশু তার পালিত ছাগলের জন্য ঘাস কাটতে বাড়ির পাশে যায়। কয়েক ঘন্টা অতিবাহিত হয়ে গেলেও মিশু বাড়ি না ফেরায় তাকে খোঁজাখুজি করা হয়। কিন্তু তার কোন খোঁজ মিলেনি। এ অবস্থায় গত ১ আগস্ট শনিবার মিশুর নিখোঁজ বিষয়ে কচুয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়। ডায়েরি নং-১২। গত রবিবার দুপুরে বড় হায়াতপুর গ্রামের দক্ষিন পূর্ব পাশে ধানি জমির বিলে মিশুর লাশ ভাসমান দেখতে পেয়ে থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। গত ৩ আগস্ট মিশুর মা শেফালী বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন (নং-২)। এ মামলার আসামী হিসেবে নুর আলম ও সজীবকে গ্রেফতার করা হয়।
এদিকে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ কচুয়া শাখার উদ্যোগে মিশু হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তশূলক শাস্তির দাবীতে মঙ্গলবার সকাল ১১ টায় কচুয়া সরকারি বঙ্গবন্ধু ডিগ্রি কলেজ প্রাঙ্গণে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও একই দিনে চাঁদপুর এম এ খালেক উচ্চ বিদ্যালয় সহ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র, শিক্ষক ও অভিভাবকরা মানববন্ধন করে।