মোঃ রাছেল,কচুয়া প্রতিনিধি:
আতঙ্কিত না হয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে করোনা জয় করা সম্ভব বলে মনে করেন কচুয়া পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের পলাশপুর গ্রামের করোনা যুদ্ধে জয়ী হওয়া শিক্ষক দম্পত্তি এ.কে এম জাহাঙ্গীর আলম ও শামিমা ইয়াসমিন। তারা দুইজনেই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক। গত ১৩ মে তাদের করোনা পরীক্ষার ফলাফলে নমুনা পজেটিভ আসে। ওই দিন থেকেই তারা নিজ বাসায় হোম কোয়ারেন্টিনে অবস্থান করেন। ১৮ দিন হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার পর তৃতীয় দফা নমুনা পরীক্ষায় পহেলা জুলাই তাদের করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ আসে।
সহকারি প্রাথমিক শিক্ষক এ.কে.এম জাহাঙ্গীর আলম জানান, আমি এবং আমার স্ত্রী দুইজনেই এক সাথে করোনায় আক্রান্ত হই। শরীরে করোনা শনাক্তের পর প্রথমে মৃত্যুর ভয়ে খুব আতঙ্কে ছিলাম। কিন্তু ডাক্তাররা আমাদের শারীরিক অবস্থার ও খাবারের বিষয়ে নিয়মিত খোঁজখবর নেন এবং সাহস দেন। ডাক্তাররা আমাদেরকে সবসময় হাসি খুশিতে থাকতে ও সবার সাথে খোশগল্প করার পরামর্শ দেন। আর তখন আমরা বেঁচে থাকার মানে খুঁজে পেয়েছিলাম।
তিনি আরো বলেন, চিকিৎসার পাশাপাশি আমি গরম পানি, আদা লেবুর রং চা, গড়গড়া এসব পদ্ধতি যথারীতি নিয়মিত সেবন ও ব্যবহার করি। এর পাশাপাশি আমার বন্ধু, আমার সহকর্মী শিক্ষকবৃন্দ ও স্বাস্থ্য বিভাগের লোকজন ফোন করে আমাকে উৎসাহ ও উদ্দীপনা দেন।
কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ সালাহ উদ্দিন মাহমুদ বলেন, দেশের এ ক্রান্তিকালে ডাক্তারদের মধ্যে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি থাকলেও করোনা আক্রান্ত রোগীদের স্বাস্থ্যসেবা দিতে আমাদের ডাক্তার ও নার্সরা অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে কাজ করছেন।