মোঃ রাছেল:
কচুয়া উপজেলার গোহট উত্তর ইউনিয়নের ৭৯নং হারিচাইল-হাসিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ গোলাম মোস্তফার বিরুদ্ধে আনিত অনিয়মের অভিযোগে আবারও তদন্ত হয়েছে। এর আগে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে কমিটি গঠনে অনিয়মের মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ ও বিদ্যালয়ের গাছ কেটে নিজের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া, কমিটির সদস্যদের স্বাক্ষর জাল করে রেজুলেশন লেখা ও ব্যাংক থেকে অবৈধভাবে অর্থ উত্তোলন করে আত্মসাৎ করার অভিযোগে স্থানীয় শিক্ষানুরাগী খোরশেদ আলম পাটওয়ারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দাখিল করলে গত বুধবার শাহরাস্তি উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার আক্তার হোসেন সরজমিনে এসে তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করেন।
বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সহ-সভাপতি মোঃ মহিনউদ্দিন তদন্ত কার্যক্রমে উপস্থিত হয়ে দাবী করেন, রেজুলেশনে যে স্বাক্ষর রয়েছে এটি তাঁর দেওয়া স্বাক্ষর নয়। প্রধান শিক্ষক স্বাক্ষর জাল করে অনিয়ম করেছে। একইভাবে কমিটির সদস্য আঃ জলিলও তার স্বাক্ষর জাল করেছে বলে তদন্ত অফিসারকে জানান বলে জানা গেছে।
অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক গোলাম মোস্তফা জানান, আমি কোন অনিয়ম দুর্নীতি করিনি, অর্থ যা এসেছে তা দিয়ে বিদ্যালয়ের কাজ করেছি এবং বাকি টাকা ব্যাংকে জমা আছে।
তদন্ত অফিসার আক্তার হোসেন জানান, তদন্ত কার্যক্রম চলমান রয়েছে, শীঘ্রই উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট প্রতিবেদন দাখিল করবো।
এদিকে একই অভিযোগ কচুয়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার নিকট দাখিল করলে তিনি তদন্তের জন্য উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার সুভাষ চন্দ্র সরকারকে দায়িত্ব প্রদান করেন। দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়ে সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা সুভাষ চন্দ্র সরকার গত ২৭ অক্টোবর তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন।