এস.এম শরিফুল ইসলাম, কচুয়া:

চাঁদপুরের কচুয়ায় মাসুুদুর রহমান (২২) নামে এক যুবক আত্মহত্যা করেছে। তবে এটি হত্যা না আত্মহত্যা এ নিয়ে এলাকায় গুঞ্জন রয়েছে। মাসুদ জগনাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্টিন বয় হিসেবে কাজ করতো।
সে কচুয়া উপজেলার ৩নং বিতারা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের আওতায় সৈয়দপুর গ্রামের সৈয়দ আলী চকিদার বাড়ির লোকমাম হোসেনের ছেলে।
পারিবারিক ভাবে জানা যায়, মাসুদুর রহমান পাশের বাড়ির সাত্তার হোসেন চৌধুরীর মেয়ে পান্না চৌধুরী ভালোবেসে বিয়ে করে। এ বিয়ে উভয় পরিবারের কেউ মেনে নিতে পারেনি। তাই বাধ্য হয়ে মাসুদ তার স্ত্রী পান্নাকে নিয়ে কুমিল্লা্ শহরে এক ভাড়াবাসায় উঠেন। খবর পেয়ে পান্নার বাবার বাড়ি লোকজন কুমিল্লা থেকে মাসুদকে মারধর করে পান্নাকে নিয়ে আসে। পরে পান্নাকে বাড়ি এনের শারীরিক নির্যাতন করে। এমন খবর শুনে মাসুদ ছুটে আসে বাড়িতে।
ছেলের পরিবার ও স্থানীয়রা জানায়, এলাকায় এসে পান্নার পরিবারের লোকেরা মাসুদকে অপমান অপদস্ত করে। পরে সে কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
কচুয়া থানার ওসি অলিউল্লাহ জানান, এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু হয়েছে। এটি মূলত আত্মহত্যা। বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন গুঞ্জন শুনা গেলো তা গ্রাম্যরাজনীতি বলে তিনি মন্তব্য করেন।