মোঃ রাছেল:
কচুয়ায় একই জমিতে জনপ্রিয় হচ্ছে ভ‚ট্টা ও শাক চাষ। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ভুট্টার সাথে আন্তঃফসল হিসেবে স্বল্পমেয়াদী শাকসবজি যেমন লাল শাক, ডাটা শাক, পালং শাক, মুগ শাক, সরিষা শাক, খেসারি শাক, ধনিয়া ইত্যাদি চাষ করে সফলতার মুখ দেখেছেন কৃষক। তারই প্রেক্ষিতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় একই জমিতে ভ‚ট্টার পাশাপাশি অনেক কৃষকরা সাথী ফসল হিসেবে শাক চাষাবাদে আগ্রহী হয়েছেন। দুটি ভ‚ট্টা গাছের মধ্যবর্তী স্থানে ফাঁকা থাকায় শাক আবাদ করা সম্ভব। এতে অন্য ফসলের পাশাপাশি শাকসবজি আবাদে ঝুঁকছেন কৃষক।
এতে অল্প খরচে অধিক লাভবান হচ্ছেন কৃষক। ফলে কৃষকরা একই জমিতে মিশ্র আবাদের দিকে আগ্রহী হচ্ছেন। পাশাপাশি তাদের পরামর্শ ও সহায়তা দিচ্ছেন উপজেলা কৃষি অফিসের কর্মকর্তা ও মাঠ পর্যায়ে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা। তাদের তৎপরতায় অধিকাংশ কৃষক ভূট্টার সাথে সাথী ফসল চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।
করইশ গ্রামের কৃষক আইয়ুব মিয়া জানান, একই জমিতে আন্তঃফসল হিসেবে ভূট্টা, লালশাক, ধনিয়া, মুলা উৎপাদন করছেন। ইতিমধ্যে জমি থেকে কয়েক দফা লাল শাক এবং ধনিয়া বিক্রি করেছেন। তার মতে এটি আর্থিকভাবে বেশ লাভজনক চাষাবাদ।
উপজেলা কৃষি স¤প্রসারণ অফিসার কৃষিবিদ মোঃ জাহাঙ্গীর আলম লিটন বলেন, প্রাথমিক অবস্থায় দুই গাছের মধ্যবর্তী স্থানে অনেক ফাঁকা জায়গা থাকে। এই ফাঁকা জায়গার সুযোগটা কাজে লাগিয়ে সহজেই বিভিন্ন ধরনের স্বল্পমেয়াদী শাকসবজি চাষ করা সম্ভব। এই পদ্ধতিতে কৃষকের বিঘাপ্রতি ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা অতিরিক্ত আয় করা সম্ভব হবে এবং অতিরিক্ত কোন সারেরও প্রয়োজন নেই। কচুয়া উপজেলায় প্রায় ১ হাজার ১৫০ হেক্টর জমিতে ভূট্টা আবাদ হয়। বর্তমানে এই পদ্ধতি কৃষকের মধ্যে ব্যাপকভাবে জনপ্রিয় হচ্ছে।