মোঃ রাছেল:
কচুয়ায় সিএনজি ও কাভার্ড-ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে চালকসহ ৫জন আহত হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় হাজীগঞ্জ-কচুয়া-গৌরিপুর সড়কের কড়ইয়া নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহতের মধ্যে তিন জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
আহতরা হলেন- উপজেলার বিতারা ইউনিয়নের মাঝিগাছা গ্রামের মোস্তাফা কামাল (৫২), বিল্লাল হোসেন (৪২), সুফিয়ান (২১), সামাদ (৪২), দেলোয়ার হোসেন (৭২)। গুরুতর আহত সুফিয়ান, সামাদ, দেলোয়ারকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। সিএনজি চালক বিল্লাল ও যাত্রী মোস্তাফা কামাল কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
আহতদের সূত্রে জানা যায়, আহত পাচঁজনই মাঝিগাছা গ্রামের বাসিন্দা। তাদের পাঁচজনেই ব্যক্তিগত কাজেই পাশ^বর্তী হাজীগঞ্জ উপজেলায় যায়। কাজ শেষে সিএনজি যোগে বাড়ি ফেরার পথে উপজেলার কড়ইয়া নামক স্থানে কাভার ভ্যানের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষে দুর্ঘটনাটি ঘটে। দুর্ঘটনায় সিএনজিটি যাত্রীসহ পাশ^বর্তী খালে পড়ে যায়।
কচুয়া থানার অফিসার ইনর্চাজ মোঃ মহিউদ্দিন জানান, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আমরা দ্রæত পৌছাই। কাভার্ড ভ্যানটি আটকের চেষ্টা চালাচ্ছি। সিএনজিটি উদ্ধার করে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে।
উল্লেখ্য, চার মাস পূর্বে একই স্থানে বিআরটিসি ও সিএনজির মুখোমুখি সংঘর্ষে তিন কলেজ শিক্ষার্থীর প্রাণ ঝরে। চাঞ্চালকর এ ঘটনার পরেও সড়ক ও জনপদ বিভাগ এ দুর্ঘটনার স্থানটিতে স্পিড ব্রেকার, ধিরে চলুন এ ধরনের কোন সংকেত চিহ্ন ব্যবহার করেনি। যা স্থাপনের জন্য এলাকাবাসী ও সচেতন মহল দাবী করে আসছে।
দুঘর্টনা প্রতিরোধে উপজেলা নিবাহী কর্মকর্তা মোতাছেম বিল্লাহ বলেন, সড়ক ও জনপদের সাথে যোগাযোগ করে দুর্ঘটনা প্রতিরোধে স্পিড ব্রেকার, ধীরে চলুন এ ধরনের কোন সংকেত চিহ্ন ব্যবহার ব্যবস্থা নেয়া হবে। পাশাপাশি সিএনজি চালকদের সাথে দুর্ঘটনা প্রতিরোধে সতর্কীকরণ বৈঠক করা হবে।