মোঃ রাছেল কচুয়া (চাঁদপুর) প্রতিনিধি:
চাঁদপুরের আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১৮-২০ জন আহত হয়েছে। রবিবার দুপুরে কচুয়ার ২নং পাথৈর ইউনিয়নের বড়দৈল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার পাথৈর ইউনিয়ন ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান জুয়েল ওই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মো. ফারুকুল ইসলামের সাথে অনেক দিন ধরে দলীয় মতবিরোধ চলে আসছিল। সম্প্রতি প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের কারনে সরকারী বরাদ্ধকৃত চাল সুষ্ঠ ভাবে বন্টন করা জন্য স্থানীয় উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য মো. সালমান চৌধুরী কাইয়ুম তার নিজ ফেসবুকে আইডিতে ‘করোন ভাইরাসের কারনে প্রতিটি ইউনিয়নে কত বস্তা ত্রাণ চাউল আসে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে তা প্রকাশ করে দেওয়া একান্ত কাম্য দাবী করে একটি স্ট্যাটাস দেয়।
এ নিয়ে রবিবার ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান জুয়েল ওই ছাত্রলীগ নেতা সালমান চৌধুরী কাউয়ুম ও মাহমুদুল হাসানের সাথে বাকবিতন্ড হয়। এতে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মো. ফারুকুল ইসলাম বাধাঁ দিলে চেয়ারম্যানের লোকজন তার বাড়ী ঘর ও দোকান ভাংচুর শুরু করেন।
হামলায় আহতরা হচ্ছেন: ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মো. ফারুকুল ইসলাম. উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য মো. মাহমুদুল হাসান, মো. জামাল হোসেন, ছাত্রলীগ নেতা মো. কামরুল ইসলাম, স্থানীয় বাসিন্দা মো. শহীদ উল্যাহ প্রধান, শিরিনা বেগম, ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ও ইউপি সদস্য মো.চাঁন মিয়া প্রমুখ।
খবর পেয়ে সাচার পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মো. আবু হানিফ সর্ঙ্গীয় ফোঁস নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন।
ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মো. ফারুকুল ইসলাম জানান, চেয়ারম্যান আমার চাচাতো ভাই মাহমুদুল হাসানকে তুচ্ছ ঘটনায় মারধর করে। এতে আমি বাধাঁ দিলে চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে তার বহিরাগত লোকজন আমার বাড়ি ও দোকান ভাংচুর করে প্রায় ১৪ লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধন করে ।
তবে হামলা ও মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে ইউপি চেয়য়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান জুয়েল বলেন, হামলাকারীরা অন্যদলের লোকজন। এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের পক্ষ থেকে কচুয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা রয়েছে।
কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওয়ালী উল্লাহ ওলি জানান, ঘটনা শুনেছি। তবে কেউ কোনো অভিযোগ নিয়ে আসেনি।