মোঃ রাছেল, কচুয়া(চাঁদপুর) প্রতিনিধিঃ
চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলা বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগে এক কৃষকের বসতঘর আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। রবিবার বিকেল সাড়ে ৪টায় উপজেলার আশ্রাফপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের মুন্সী বাড়ির আবু তাহেরের ছেলে শাহাদাত হোসেনের(২৮) বসতঘরে এ অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত হয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস যাওয়ার আগেই স্থানীয়রা আগুন নিয়ন্ত্রনে আনলেও ততক্ষনে পরিবারটির বসতঘর, রান্নাঘর ও ঘরের ভেতরে থাকা আসবাবপত্র, কাপড়-চোপড় সহ সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এতে কৃষক শাহাদাত হোসেনের প্রায় সাড়ে ৩ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয় বলে দাবী করা হয়েছে। বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, রবিবার বিকেল সাড়ে সাড়ে ৩টার দিকে কৃষক শাহাদাত হোসেনের ঘর থেকে দ্রুত আগুন জ্বলে ওঠে। পরে স্থানীয়রা কচুয়া ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়। তবে ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট আসার আগেই স্থানীয়রা আগুন নিভিয়ে ফেললেও ততক্ষনে ভয়াবহ আগুনের লেলিহানে সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক শাহাদাত হোসেন জানান, আমার স্ত্রীর বড় ভাই কাতারে মারা গেছে। ওনার লাশ রবিবার বাংলাদেশে আসে। তাই আমি, আমার স্ত্রী ও সন্তান তার লাশ দেখতে জগৎপুরে যাই। আমার সালার জানাযা নামাজ শেষে আমার বাড়ি থেকে ফোন আসে যে আমার ঘরে আগুন লেগেছে। তাড়াহুরা করে আমি, আমার স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে বাড়িতে এসে দেখি আমার বসতঘরের সবকিছু পুড়েঁ ছাই হয়ে গেছে। এতে আমার প্রায় ৩/৪ লক্ষ টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়। তিনি আরো জানান, স্থানীয় এনজিও থেকে ১লক্ষ ৬৫ হাজার টাকা কিস্তি উঠিয়ে আমার এই ঘরটি নির্মাণ করি এবং একটি গরু কিনি। এখন আমি সর্বশান্ত। স্ত্রী ও ৮ মাসের সন্তানকে নিয়ে এখন আমার মাথা গোঁজার স্থান নেই।
ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে মুহুর্তের মধ্যে কৃষক শাহাদাত হোসেনের সাজানো সংসারের সব পুড়ে ছাই হয়ে যায়। খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবন-যাপন করছে কৃষক পরিবারটি।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. সফিকুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারটি খুবই অসহায়। আমার সাধ্যমত আমাদের পরিষদের পক্ষ থেকে সহায়তা করা হবে।