মোঃ রাছেল
কচুয়া উপজেলার কড়ইয়া ইউনিয়নের ডুমুরিয়া গ্রামে অগ্নিকান্ডে ২টি বসত ঘর পুড়ে ছাই গেছে।
গতকাল শুক্রবার সকালে ডুমুরিয়া পুরান ডাক্তার বাড়িতে এই অগ্নিকান্ডে ঘটে। এ ঘটনায় প্রায় ১০ লাখ টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার জানান। তবে কিভাবে আগুনের আগুনের তা জানা যায়নি।
অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থ মোঃ এমরান হোসেন জানান, আমার ছোট ভাই জুবায়ের হোসেনের ঘর থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। শুক্রবার সকালে মাঠে কাজের উদ্দেশ্যে ঘর থেকে বের হয় সে। তার স্ত্রী ঘরে তালা দিয়ে পাশের বাড়িতে যায়। হঠাৎ দেখি আমার ছোট ভাই জুবায়েরের ঘর থেকে আগুন দাউ দাউ করে জ্বলতে শুরু করে। পরে আমার ডাক চিৎকারে আশে পাশের লোকজন ছুটে আসে। ততক্ষণে আগুনের লেলিহান শিখা মুহুর্তের মধ্যে চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে আমার ঘরটিও পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
এমরান আরো জানান, তাঁর চার ছেলে ১ মেয়ে। অভাবের সংসারে একটু সুখের আশায় তাঁর বড় ছেলে মোঃ ফরহাদ (২৩) কে প্রবাসে পাঠানোর জন্য দুইটি গরু বিক্রি করে নগদ ২ লাখ ও এনজিও থেকে ১ লাখ টাকা উত্তোলন সহ বিভিন্ন আত্বীয় স্বজনের কাছ থেকে ধার-দেনা করে আরো ২ লাখ টাকা এনে ঘরে রাখি। অগ্নিকান্ড মুহুর্তের মধ্যে আমার ঘরে থাকা ফ্রিজ, টিভি, আসববাপত্রসহ সব পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এই কথা বলে চিৎকার করে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন তিনি।
ক্ষতিগ্রস্থ জুবায়ের বলেন, কাজের উদ্দেশ্যে সকালে ঘর থেকে বের হয়ে যাই। পরে আমার ঘরে আগুন লেগেছে শুনে ছুটে এসে দেখি আমার ঘর ও ঘরের ভেতরের সবকিছু পুড়ে মাটিতে ছাই হয়ে গেছে। ঘরে থাকা ফ্রিজ, টিভি, বিভিন্ন আসববাপত্রসহ প্রায় ২ লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
খবর পেয়ে কচুয়া ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ১টি ইউনিট ও স্থানীয় এলাকাবাসী মিলে প্রায় ঘন্টা খানেক চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।
কচুয়া ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিন জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটেছে।