দৈনিক শপথ রিপোর্ট
পঞ্চম ধাপে অনুষ্ঠিত গত ৫ জানুয়ারি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে কচুয়ায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের এক প্রার্থীসহ ৩৫জন চেয়ারম্যান প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। কচুয়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা কাজী আবু বকর সিদ্দিকের কাছ থেকে প্রাপ্ত ফলাফল অনুসারে ৪নং পালাখাল মডেল ইউনিয়নের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আব্দুল আহাদ গাজীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়।
চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী উপজেলার বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ মকবুল হোসেন (পাথৈর ইউনিয়ন), মোঃ শহিদ উল্লাহ ভূইয়া (বিতারা ইউনিয়ন), আলমগীর হোসেন স্বপন (পালাখাল মডেল ইউনিয়ন) ও সাইফুর রহমান বাহাদুরের (পশ্চিম সহদেবপুর ইউনিয়ন), কাদলা ইউনিয়নে হান্নান খানের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।
৬নং কচুয়া উত্তর ইউনিয়নে লাঙ্গল প্রতীকের জাতীয় পাটির একমাত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আবুল বাশারের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। এছাড়া উপজেলার ১১টি ইউনিয়নে বাংলাদেশ ইসলামী আন্দোলনের হাতপাখা প্রতীকের সকল প্রার্থীরই জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।
উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সোহরাব হোসেন চৌধুরী সোহাগ বলেন, কিছুক্ষেত্রে তৃণমূলের সমর্থিত প্রার্থীকে দলীয় মনোনয়ন না দেয়ায় এবং আ.লীগের অনেক নেতাই দলীয় সিদ্ধান্ত না মেনে বিদ্রোহী হিসেবে প্রতিদ্ব›দ্বীতা করায় নির্বাচনে এরকম ফলাফল হয়েছে।
উপজেলা বিএনপির সভাপতি হুমায়ুন কবির প্রধান বলেন, বিএনপি এ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেননি।
কচুয়া উপজেলা জাতীয় পাটির সভাপতি মোঃ এমদাদুল হক রুমন জানান, তৃণমূলের নেতাকর্মীদের সাথে সমন্বয়হীনতার কারণেই জাতীয় পার্টির একমাত্র প্রার্থী আবুল বাশারের পরাজয় ঘটেছে বলে আমি মনে করি।
উল্লেখ্য যে, কচুয়া উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে ৬৬ চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রতিদ্ব›দ্বীতা করেন। যার মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়।