মোঃ রাছেল
কচুয়া পৌরসভার ঐতিহ্যবাহী হযরত শাহ নেয়ামত শাহ উচ্চ বিদ্যালয় যাওয়ার পূর্ব পাশের রাস্তাটি এখন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। বিদ্যালয় ঘেঁষে এই রাস্তাটি পলাশপুর সিএনজি স্টেশনের সাথে মিলিত হয়েছে। রাস্তাটি দিয়ে প্রতিদিন বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও পাশাপাশি অসংখ্য মানুষ ও যানবাহন চলাচল করে। প্রায় দুই বছর যাবত রাস্তাটি সংস্কার না হওয়ায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এ রাস্তাটি দিয়ে পায়ে হেটেও ঝুঁকিপূর্ণভাবে চলাচল করতে হয়ে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর। রাস্তার অনেকাংশ পাশ্ববর্তী পুকুরে ডেবে গেছে। বেশ কয়েকদিন যাবত এ রাস্তা সংলগ্ন বিদ্যালয়ের দেওয়ালের কিছু অংশ ভেঙ্গে পুকুরে পরে রয়েছে। যার কারণে যান-চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে রাস্তাটি।
ওই বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী দীপ্ত, নিলয়সরকার, তানিয়া আক্তার, পূজা, জান্নাত আক্তার, তামান্নসহ একাধিক শিক্ষার্থী জানান, আমাদের বিদ্যালয়ে যাওয়ার এই সড়কটি দিয়ে আমরা খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে বাড়ি থেকে স্কুলে পৌছাতে পারি। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে সড়কটির একপাশ ডেবে যাওয়ায় আমাদেরকে ২কিলোমিটার রাস্তা ঘুরে বিদ্যালয়ে পৌছাতে হচ্ছে। এতে আমাদের অতিরিক্ত সময় ও টাকা অপচয় হচ্ছে। তারপরও মাঝে মাঝে সময়ের কারণে আমাদেরকে এই রাস্তাটি দিয়ে বিদ্যালয়ে যেতে হচ্ছে। এমতাবস্থায় এই সড়কটি দ্রুত সংস্কারের দাবী জানায় শিক্ষার্থীরা।
স্থানীয় অধিবাসী সঞ্জয়, নিমাই সরকার, হযরত আলী, বিলকিস আক্তারসহ একাধিক পথচারী জানান, প্রায়ই এই সড়কের ঝুঁকিপূর্ণ অংশটিতে দুর্ঘটনা ঘটছে। যাত্রী সাধারণ মনে করেন এ যেনো রাস্তা নয় একটি মরণ ফাঁদ। যে কোন সময় মানুষসহ গাড়ি পাশ্ববর্তী পুকুরে পড়ে দুর্ঘটনা ঘটার আশংকা রয়েছে। স্থানীয়রা অচিরেই পৌর কর্তৃপক্ষের নিকট রাস্তাটির পাশে গাইড ওয়াল নির্মাণ করে রাস্তাটি সংস্কারের দাবী জানিয়েছেন।
কচুয়া পৌরসভার মেয়র নাজমুল আলম স্বপন জানান, বিদ্যালয়ের যাওয়া আসার রাস্তাটির একটি অংশ পাশে পুকুর থাকায় একদিকে মাটি সরে গিয়ে হেলে পড়ে। হেলে পড়া স্থানটি পরিদর্শন করেছি। পুকুরের পাশে গাইড ওয়ালসহ অচিরেই রাস্তাটি সংস্কারের জন্য দরপত্র আহ্বানের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।