কচুয়া প্রতিনিধি:
কচুয়া পৌরসভার করইশ পুর্ব পাড়া মৃত হাজী বাচ্চু মিয়ার ৩তলা ভবনে ইচ্ছেকৃতভাবে আগুন দিয়ে ২য় তলার ৩টি কক্ষের সম্পুর্ণ প্রয়োজনীয় মালামাল পুড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, সোমবার দুপুরে বাচ্চু মিয়ার মেয়ে শাহানাজ আক্তারের স্বামী জহিরুল আলম ২য় তলার উত্তর পাশে পেট্রোল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয়। ২য় তলায় বাচ্চু মিয়ার মেয়ে আছমা আক্তার তার স্বামী বিদেশ থাকায় বসবাস করতো। ঘঠনার দিন আছমা আক্তার ও তার বোন শাহানাজ আক্তার এক আত্বীয়ের বাড়িতে ছিল। ওই ভবনের নীচ তলায় ফাতেমাতুজ জোহরা নামে একটি হাফিজিয়া ও এতিম খানা মাদ্রাসা ভাড়া হিসেবে রয়েছে। ঘটনার সময় মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের বের করে দিয়ে জহিরুল আলম আগুন লাগায় বলে জানিয়েছেন আছমা আক্তার ও তার বোন শাহানাজ আক্তার। কক্ষ গুলো বন্ধ থাকায় আগুন ৩টি কক্ষে ছড়িয়ে পড়ে, পরে ফায়ার সার্ভিস এসে তালা ভেঙ্গে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এ বিষয়ে জহিরুল আলমের স্ত্রী শাহানাজ আক্তার বলেন, দীর্ঘদিন ধরে যৌতুকের টাকার জন্য তাকে চাপ প্রয়োগ করে এবং কয়েক দফা মারধর করে, সহ্য করতে না পেরে অবশেষে তিনি বাপের ওই ভবনের ২য় তলার দক্ষিণ অংশে ২ সন্তান নিয়ে বসবাস করতেন। আমার বোন আছমা আক্তারের ঘরে আগুন লাগায় তার স্বামী, আগুনে ৩টি কক্ষের প্রয়োজনীয় জিনিষপত্র সম্পুর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এতে প্রায় ১০ লাখ টাকার মত ক্ষতি হয়েছে বলে তিনি জানান। পরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন কচুয়া পৌর মেয়র নাজমুল আলম স্বপন এবং কচুয়া থানা পুলিশ। এ বিষয়ে আছমা আক্তার কচুয়া থানায় মামলা দায়ের করবেন বলে জানা গেছে। অপরদিকে অভিযুক্ত জহিরুল আলমের সাথে যোগাযোগ করে তাকে না পাওয়ায় তার বক্তব্য দেয়া সম্ভব হয়নি।