তুহিন ফয়েজ:
মতলব উত্তর উপজেলার ৬৫নং এখলাছপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জায়গা জোরপূর্বক দখলের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় রফিকুল ইসলাম নামে এক মাধ্যমিক স্কুলের শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এছাড়াও জায়গা দখলে বাঁধা দেয়ায় ওই স্কুলের শিক্ষকদেরও লাঞ্চিত করেন তিনি। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
শনিবার সকালে সরেজমিনে জানা গেছে, ৬৫নং এখলাছপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি পরিত্যাক্ত পুকুর ছিল। স¤প্রতি ওই পুকুরটি বালু দিয়ে ভরাট করেছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। মাঠ হিসেবে ব্যবহার করতে ও শিশুদের খেলাধুলার জন্য জায়গাটি ভরাট করার উদ্যোগ নেয় পরিচালনা কমিটি। ওই জায়গা ভরাট হওয়ার পরে স্থানীয় রফিকুল ইসলাম মাস্টার জোর করে দখল করে খুটিঁ দিয়েছে এবং গাছের চারা রোপন করেছেন। তিনি উপজেলার পাঁচানী উচ্চ বিদ্যালয়ের ক্রীড়া শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছেন। জায়গা ভরাটের সময় বাঁধা দিলে এখলাছপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সহ কয়েকজন শিক্ষককে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ ও লাঞ্চিত করেন।
৬৫নং এখলাছপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আনিছুর রহমান বলেন, স্কুলের নামে এক দাগেই ২৭ শতাংশ জায়গা রয়েছে। আরেকটি দাগে ১৮ শতাংশ সহ মোট ৪৫ শতাংশ জায়গা রয়েছে। ২৭ শতাংশের মধ্যে পরিত্যাক্ত কিছু জায়গা ছিল গর্ত। মাঠ হিসেবে ব্যবহারের জন্য ওই জায়গাটি ভরাট করার উদ্যোগ নিয়ে ভরাট করি। পরে স্কুলের পাশের বাড়ির রফিক মাস্টার গং জায়গাটি জোর করে দখল করে খুঁটি দেয় ও গাছের চারা রোপন করে। আমরা বাঁধা দিলে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করেছে এবং ধাক্কা দিয়ে লাঞ্চিত করেছে। এসময় উপজেলা শিক্ষা অফিসারের সাথে কথা বলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি রেহান উদ্দিন নেতা বলেন, এই বিদ্যালয়টি ১৮৯৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আমি ছোট বেলা থেকেই দেখেছি এই পুকুরটি স্কুলের ভোগ দখলে আছে। মাছ চাষ করার মাধ্যমে স্কুলের কাজে টাকা ব্যয় করা হয়। এখন মাঠ হিসেবে ব্যবহার করার জন্য ভরাট করেছি। এরপর রফিক মাস্টার জোর করে জায়গাটি দখল করার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। আমরা আগামী ১৭ মে এ ব্যাপারে বসে সিদ্ধান্তে যাব।
দাতা সদস্য সোহেল চৌধুরী বলেন, আমাদের পূর্ব পুরুষরা স্কুল ও মসজিদের জন্য জায়গা দিয়ে গেছেন। এই জায়গাটিও স্কুলের নামে দিয়েছেন। এতদিন কেউ কোন কথা বলেনি। এখন হঠাৎ করে শুনছি স্কুলের জায়গা দখল হয়ে যাচ্ছে, এটা খুবই দুঃখজনক।
এদিকে শিক্ষক রফিকুল ইসলাম বলেন, এই জায়গাটি আমাদের। আমাদের কাগজপত্র আছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি কোন শিক্ষকের সাথে খারাপ আচরণ করিনি।