এইচ.এম নিজাম:
সালিশের নামে ডেকে নিয়ে সেকান্দর খান (সেকা খাঁ) নামের এক ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে তার মাথার একাংশ রক্তাক্ত জখম করা হয়। বর্তমানে তিনি চাঁদপুর সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ১০ এপ্রিল রোববার তারাবির নামাজের পর মেঘনা নদীর পশ্চিম চরে আফামোল্লার বাজারে এ ঘটনা ঘটে। আহত সেকান্দর খান দক্ষিণ তারাবুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ২নং ওয়ার্ডের মেম্বার এবং মতি খাঁর কান্দির মরহুম নূর মো. খানের ছেলে।
আহত ইউপি সদস্য সেকান্দর খানের ছেলে কবির হোসেন জানায়, রোববার রাতে তারাবি নামাজের পর নুরু সরকার নামে একজন আমার বাবাকে সালিশের কথা বলে মোবাইলে ফোন করে বাজারে ডেকে নিয়ে যায়। অনেকক্ষণ পর শুনতে পাই সন্ত্রাসীরা আমার বাবার উপর অর্তকিত হামলা চালিয়েছে। এরপর গ্রামবাসী এবং আমাদের আত্মীয়-স্বজনরা মিলে বাজার থেকে রক্তাক্ত জখম অবস্থায় বাবাকে উদ্ধার করে চাঁদপুর সরকারি হাসপাতালে নিয়ে আসি।
এ বিষয়ে আহত ইউপি সদস্য সেকান্দর খান বলেন, সালিশ আছে বলে তারা আমাকে ফোন করে বাজারে ডেকে নেয়। সেখানে যেতেই পূর্ব থেকে উৎ পেতে থাকা হোসেন বেপারীর নির্দেশে নুরু সরকার এবং তার ছেলে আমির সরকারসহ অজ্ঞাত ১০/১৫ জন সন্ত্রাসী আমার উপর হামলা চালায়। আমি কিছু বুঝে উঠার আগেই তারা রাম দা সহ দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আমাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মাটিতে ফেলে দেয়।
চাঁদপুর সরকারি হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, আহত ইউপি সদস্যের মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। ক্ষতস্থানে ৬টি সেলাই করা হয়েছে। এছাড়াও শরীরের বেশ কয়েকটি জায়গায় জখম করা হয়েছে। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে মাথা থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণ হওয়ায় তার অবস্থা খুব বেশি সুবিধাজনক নয়। আমরা তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছি।
এদিকে খবর পেয়ে আহত ইউপি সদস্যকে দেখতে হাসপাতালে ছুটে আসেন, পার্শ্ববর্তী রাজরাজেশ্বর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী হযরত আলী বেপারী, চাঁদপুর মৎস্য বণিক সমবায় সমিতির পরিচালক ইয়াকুব খান, যুবলীগ নেতা শাহজালাল বন্দুকশী, ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক বেলাল হোসেন দেওয়ানসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। এ বিষয়ে আহত ইউপি সদস্য সেকান্দার খানের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানা যায়।