মোঃ রাছেল
নারীদের অধিকার প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে–শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে দেশের ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে– প্রতিমন্ত্রী ডা. মোঃ এনামুর রহমান এমপি।
মানুষের প্রতি রয়েছে ড. সেলিম মাহমুদের অপরিসীম ভালোবাসা–পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বৈষম্যহীন একটি সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলেন। সেই লক্ষ্যে ৭২এর সংবিধানে নারী-পুরুষের সমান অধিকার প্রতিষ্ঠার উপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা তার পদাঙ্ক অনুসরণ করে নারীদের অধিকার প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। গতকাল শুক্রবার আ.লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদের রত্বগর্ভা মা শাহজাদী বেগমের ১ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণ সভা ও বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি।
তিনি আরো বলেন, জাতির পিতাকে হত্যার পর স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি আমাদের ঘাড়ে চেপেছিল। তারা ছিলো দেশ বিরোধী ও নারী বিদ্বেশী। মৌলবাদীরা নারীর অধিকারের বিপক্ষে অবস্থান নেওয়ায় নারীদের অগ্রযাত্রা ব্যাহত হয়। বর্তমান আ.লীগ সরকারের আমলে সকল ক্ষেত্রে নারীরা এগিয়ে যাচ্ছে। সারা পৃথিবীর মধ্যে বাংলাদেশ যতগুলো কারণে এগিয়েছে তার মধ্যে একটি উল্লেখযোগ্য কারণ হলো বাংলাদেশে নারীর ক্ষমতায়ন। জননেত্রী শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে এবং দেশ এগিয়ে যাবে অপ্রতিরোধ্য গতিতে। এই অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রাখতে হলে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে। তাই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তাঁর মনোনীত প্রার্থীকে জয়যুক্ত করতে হবে। মন্ত্রী বলেন, গর্ভধারীনি মায়ের প্রতি দায়িত্ব পালন করা আমাদের কর্তব্য। এ কর্তব্য পালনে আমরা কুণ্ঠাবোধ করিনা। মনে রাখতে হবে, গর্ভধারীনি মায়ের মতো আমাদের আরো দুই মা আছে, তা হচ্ছে-মাতৃভূমি ও মাতৃভাষা। গর্ভধারীনি মায়ের মতোই মাতৃভূমি ও মাতৃভাষার প্রতি আমাদের দায়িত্ব পালন করতে হবে।
বাংলাদেশ আ.লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদের সভাপতিত্বে ও কচুয়া উপজেলা ছাত্রলীগের আহŸায়ক সালাউদ্দীন সরকারের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান এমপি। তিনি বলেন- দেশের ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে। এটা সম্ভব হয়েছে টানা ১৩ বছরের স্থিতিশীল থাকার কারণে। আমরা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত দেশ গড়ে তুলবো। তিনি আরো বলেন, ড. সেলিম মাহমুদের মা যুগযুগ ধরে যেন আমাদের মাঝে দৃষ্টান্ত হয়ে থাকেন। শাহজাদী বেগমের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে সুনাগরিক গড়ে তুলতে হবে। ড. সেলিম মাহমুদের মানুষের প্রতি রয়েছে অপরিসীম মমত্ববোধ। এই মমত্ববোধ থেকে তিনি কর্ম জীবন থেকে সরে এসে মানুষের কল্যাণে আত্মনিয়োগ করার জন্য রাজনীতিতে জড়িত হয়েছেন। তিনি তাঁর মেধা শক্তি দিয়ে দেশ ও জাতির কল্যাণে অবদান রাখবেন।
অনুষ্ঠানে অপর বিশেষ অতিথি পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেন- ড. সেলিম মাহমুদ একজন বিশেষ দক্ষ-অভিজ্ঞ ও গুণী ব্যক্তি। তিনি পিতা মাতার প্রতি খুবই দায়িত্ববান ও তাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা-ভালোবাসার পরিচয় দিয়ে আসছেন। পিতা-মাতার প্রতি ভালোবাসার ন্যায় সমাজের মানুষের প্রতিও তাঁর রয়েছে অপরিসীম ভালোবাসা। এ গুণী ব্যক্তি সাংগঠনিকভাবে দলে অবদান রেখে আসছেন। ভবিষ্যতে দলের গুণগতমানে আরো বেশি অবদান রাখবেন বলে প্রত্যাশা করছি।
এছাড়াও বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- সুপ্রিম কোর্ট হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মকবুল হোসেন, আ.লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক বিষয়ক ইঞ্জিনিয়ার এম এ সবুর, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন নাহার লাইলী, সদস্য গোলাম রাব্বানী চিনু ও আজিজুস সামাদ ডন, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ, বাংলাদেশ বিমানের চেয়ারম্যান এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব সাজ্জাদুল হাসান, জাতীয় বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মশিউর রহমান, কুমিল্লা বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মঈনুদ্দিন, ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ড. মাকসুদ কামাল, ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটির চেয়ারম্যান ও উপাচার্য আবদুল মান্নান চৌধুরী, বিশ^বিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য ড. বিশ^জিৎ চন্দ্র, চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েল, কচুয়া উপজেলা আ.লীগের সভাপতি আলহাজ¦ আইয়ুব আলী পাটওয়ারী, সাধারণ সম্পাদক সোহরাব হোসেন চৌধুরী সোহাগ, কচুয়া পৌর মেয়র নাজমুল আলম স্বপন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুব আলম, কচুয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি মানিক ভৌমিক ও ইউপি চেয়ারম্যান হাবিব মজুমদার জয়।
স্মরণ সভায় বরুড়া আসনের সংসদ সদস্য মো. নজরুল ইসলাম, কুমিল্লা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এবং সাবেক নৌবাহিনী প্রধান রিয়ার এডমিরাল আবু তাহের, বাংলাদেশ পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন, চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ, লক্ষীপুরের জেলা প্রশাসক মো. আনোয়ার হোসেন আকন্দ, চাঁদপুরের পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ বিপিএম (বার)সহ বিভিন্ন পর্যায়ের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। স্মরণ সভা শেষে মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে রত্বগর্ভা শাহজাদী বেগম বৃত্তি প্রদান করা হয় এবং রত্বগর্ভা কৃতি শিক্ষার্থীর মাকে সম্মাননা প্রদান করা হয়।