স্টাফ রিপোর্টার:
চাঁদপুরে চলতি ২০২২-২৩ মৌসুমে আলু উৎপাদন হয়েছে ১ লাখ ৭৬ হাজার মে. টন। এ বছর ৭ হাজার ৩শ ৫০ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ হয়েছে আলু। সারা দেশের মধ্যে আলু উৎপাদনে চাঁদপুর দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। চাঁদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে ২ এপ্রিল এ তথ্য জানা যায় ।
প্রাপ্ত তথ্য মতে, চাঁদপুরে ১২টি হিমাগারে ৭০ হাজার মে.টন আলু সংরক্ষণ করার ধারণ ক্ষমতা রয়েছে। বাকি আলু হিমাগারের বাহিরে থাকে। এর মধ্যে কিছু পরিমাণ আলু উৎপাদন মৌসুম খেকে বিক্রি হয়ে আসছে এবং বাকি আলু কৃষকরা কৃষিবিভাগের পরামর্শে কৃত্রিমভাবে মাচায় সংরক্ষণ করেছেন বলে কৃষিদপ্তর জানান। বর্তমানে প্রতি কেজি আলুর খুরচা মূল্য ২০-২৫ টাকা। মাহে রমজানে এবার প্রচুর আলুর চাহিদা থাকায় কৃষকরা খুচরাও বাজারে আলু বিক্রি করছেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে প্রাপ্ত তথ্য মতে, কৃষকদের সাথে কাথা বলে জানা যায়, বর্তমানে কৃষকরা লাঙ্গলের পরিবর্তে ট্রাক্টর, হোচার পরিবর্তে বিদ্যুৎ চালিত স্যালো সেচ ব্যবস্থায়, গোবরের সারের পরিবর্তে বিভিন্ন প্রকার উন্নত রাসায়নিক সার ব্যবহার, উন্নত বীজ, পরিমিত কীটনাশকের ব্যবহার, নতুন নতুন জাতের উদ্ভাবন ও প্রযুক্তির ব্যবহার ও আবহাওয়ার অনুকূল পরিবেশ থাকলে আলুর বাম্পার ফলন হওয়ার সম্ভাবনা ছিল বলে জানান।
চাঁদপুর জেলা একটি নদীবিধৌত কৃষি ভিক্তিক অঞ্চল বিধায় কৃষকরা সময়মত চাষাবাদ, বীজবপন ও সঠিক পরিচর্যায় পারদর্শী। জেলার ব্যাংকগুলো যথারীতি ফসল ঋণ প্রদান করে কৃষিপণ্য উৎপাদনে ব্যাপক সহায়তা দিচ্ছে। এদিকে চাঁদপুরের সাথে নৌ, সড়ক ও রেলপথের উত্তম যোগাযোগ ব্যবস্থা থাকায় দেশের সর্বত্র কৃষিপণ্য পরিবহন অন্যান্য জেলার চেয়ে খুবই সহজ ও নিরাপদ ইত্যাদি সুযোগ থাকা সত্বেও চাষিরা মার খাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, আলু বাংলাদেশের প্রধান অর্থকরি সবজি। চাঁদপুর আলু উৎপাদনে দেশের মধ্যে দ্বিতীয় স্থান অর্জন জেলা। মুন্সীগঞ্জের পরেই চাঁদপুরের স্থান। ফলে চাঁদপুরে বেসরকারিভাবে ১২টি কোল্ডস্টোরেজ রয়েছে। এগুলোর ধারণক্ষমতা মাত্র ৭০ হাজার মে. টন। মতলবের করিম কোল্ড স্টোরেজের সংরক্ষণাগারটির ধারণ বাড়ালেও বাকি আলু কৃষকদের নিজ দায়িত্বে মাচায় বা কৃত্রিম উপায়ে সংরক্ষণ করা হয়েছে।
৮ উপজেলায় আলুর চাষাবাদ ও উৎপাদনে বিভিন্ন জাতের আলু চাষাবাদ করে থাকে চাঁদপুরের কৃষকরা। কম-বেশি সব উপজেলাই আলুর ফলন ও চাষাবাদ হয়ে থাকে। বিগত কয়েক বছর ধরেই চাঁদপুরে ব্যাপক আলু উৎপাদন হচ্ছে।
বিশেষ করে আলু উৎপাদনকারী অঞ্চলগুলোর মধ্যে হচ্ছে সফরমালী, রালদিয়া, মুন্সীরহাট, মতলব দক্ষিণ, নারায়ণপুর, কুমারডুগি, শাহাতলী, কেতুয়া এলাকা। বর্তমানে আলুর খুচরা মূল্য ২০-২৫ টাকা কেজি।