আবু ইউসুফ:
যেই দেশে ছবি আর ছবির মানুষের জীবন কর্ম আকাশ-পাতাল তফাৎ সেই দেশে এসময় আমি আমার ছবি আর তুলতে দেবো না। যদি নিতে হয় তো আমার ছায়ার ছবি নিতে পারেন। তবে কথায় কথায় যা বলেছি প্রয়োজনে আরো বলবো কিন্তু ছবি নয়। কচুয়া উপজেলার পালাখাল এলাকায় ভুইয়ারা গ্রামের মসজিদের পাশেই মাচাঙে বসা একজন যুবক কথাগুলো বলছিলেন। লম্বাটে পরিপাটি পোশাকে খোঁচা খোঁচা দাঁড়ি। মেজাজ খিটখিটে তথ্যটা জনালেন একই গ্রামের জহির আহমেদ।
যুবক একটু অন্য রকম মানুষ। নিজেই বলছিলেন, আমি তখনকার কয়েক ক্লাস পড়েছি বেশি দূর এগুতে পারিনি। তবে যেটুকু পড়েছি সেটুকুর নিরপেক্ষ শাষণে অনেক দূর হতো। কিন্তু হয়নি, সেটা আমার একান্ত প্রাপ্তি । ১৯৮৯ তে জন্ম নিয়ে খুশিতে সাজানো ঘরে খুশিটা অপূর্ণ রয়ে আছে তার ফল আজো বয়ে বেড়াচ্ছে আমার গোটা পৃথিবী।
এই দেশ আজ আতুর ঘরে রূপ নিয়েছে। নিয়মিত উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যানদের কারসাজিতে নানান অঘটন সাম্প্রতিক বলে বেড়ানোর কিছুই নেই। তা আমি আপনি সকলেই জানে।
নামটা বলতেও ঘৃণা হচ্ছে কারণ বাংলায় বলবো তো, যে ভাষার জন্য জীবন দিলো পৃথিবীতে বিরল সে ভাষাতেই হীনমন্যতার পরিবেশে বলতেও চাই না। আপনি কেন জিজ্ঞেস করছেন বা নোট করছেন সেটা আপনার ব্যাপার আমি কিন্তু বলবো না।
কারণ আমার ছায়া যখন আমাকে ছেড়ে যায়। তখনি ভয় হয় আমি আমাকেও তো রাখতে পারবো না। আপনিও থাকতে পারবেন কি? তো কেন এতো আঞ্জাম, কেন এতো দম্ভ, কেন এতো অস্থায়ী ক্ষমতার অহংকার, কেন এতো তড়াই-বড়াই?
নিছক এই জীবনটা পোশাকের উল্টো পিঠের দিকে নজর দিলেই তো জ্ঞানী মাত্রই খবর হয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু আমার উল্টো পোশাক গায়ে দেওয়া নিয়ে অনেকেই অনেক মন্তব্য করে। এটাই সকলের, পাগলের আর আমার মধ্যে তফাৎ।
সকলের সকাল আর আমার সকাল যদি এক ভাবনায় থাকতো তাহলে পৃথিবী স্বর্গে রূপ নিতো। কিন্তু পৃথিবী এক মাকড়সার ফাঁদ। আরে মিথ্যে দাম্ভিকতা আর আভিজাত্য কিছুই থাকবে না। থাকবে তো অনন্ত ভালোবাসা।
এই ভালোবাসা আজ আর সেই ভালোবাসা নেই ৯৯% ভাগ হয়ে গেছ জৈবিক নোংরামির এক হলি খেলা। বয়স নেই, নেই স্থান কাল পাত্র ভেদাভেদ। যে কোন মূল্যে চুকিয়ে দিচ্ছে নিজকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। লজ্জিত মানব এক আমি কি থেকে কি বলছি। হয়তো বা কোন অঘটনের আশঙ্কায় পতিত হচ্ছি না তো? কে ভাই আপনি কেনই বা প্যাচাল করছেন? না ভাই আমি যাই…
কথাগুলো বলছিলেন নিজের মতো করে চলা (মানসিক ভারসাম্যহীন) মানুষ ইদ্রিস। তিনি কচুয়া উপজেলার পালাখাল এলাকার ভুইয়ার গ্রামের মনু মিয়ার বড় ছেলে। খিটখিটে মেজাজ আর এক রোখা মানুষ হিসেবেই সবাই জানে। কয়েক বছর যাবৎ এভাবেই চলছে। বিয়ে করেছেন কিন্তু সংসার টেকেনি। তার এমন বেসামাল মেজাজই যার অন্যতম প্রধান কারণ। রাজধানী ঢাকায় একটা চাকুরী করতেন। কি চাকুরী করতেন জানা হয়নি।