আবু ইউসুফ
মুহাম্মদ আব্দুল হালিম (৭৮)। পিতা মরহুম মুহাম্মদ শায়েখুল ইসলাম। মাতা মরহুমা বিবি আম্বিয়া খাতুন। এক নামে সবাই চিনে কবিরাজ আবদুল হালিম শিকারী। মৎস্য শিকারের জন্য তাকে কবিরাজ হাকিম শিকারী হিসেবে চেনে। দেহের গঠন আর সাবলীল কথা বলার ধরন দেখলে মনেই হবে না এতো বয়স হয়েছে। কথার বাঁকে বাঁকে রয়েছে জীবনের নানান গল্প বাস্তব অভিজ্ঞতার বিবরণ। তিনি কচুয়া উপজেলার ১০ গোহাট ইউনিয়নের পালগীরি পূর্ব পাড়া সৈয়দ আলী মুন্সি বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তার ৬ বোন ২ ভাই ছিলো।
তিনি ভাই বোনদের মধ্যে তৃতীয়। তিনি তিন ছেলে তিন মেয়ের জনক। পরিবার পরিজনকে নিয়ে ভালো আছেন। ১৯৭১ সাল হতে পর পর কয়েক বার ইরাকে কর্মসংস্থানের জন্য গিয়েছিলেন। একাধারে ৯০ সালের ইরাক কুয়েত যুদ্ধের সময় সরনার্থী হয়ে দেশে ফিরে আসেন। পাশের গ্রাম কলমিয়ায় নিজে বাড়ি করেন। বর্তমান সময়ের সুনামি এবং দক্ষ কবিরাজি করেন। সামাজিক কর্মকাণ্ডে মানুষের সুখে দুঃখে যথাসম্ভব এগিয়ে আসেন। তার আরেক নেশা বরশী দিয়ে মাছ ধরা। তিনি দেশের বিভিন্ন জেলায় গিয়ে বরশী দিয়ে মাছ ধরেন। জীবনে তিনি নদীতে ৫৩ কেজি কাতলা মাছ ধরেন। এবং সাম্প্রতিক কয়েক বছর আগে নলুয়ার পশ্চিম চাঁদপুরের উত্তর বাসাবাড়িয়ার দক্ষিণ মাঠে মনজুর মিয়ার ড্রেজারের দিঘিতে ২৬ কেজি বোয়াল মাছ শিকার করেন তিনি।
জীবনের এ বয়সে এসে অতৃপ্তি নেই বলে জানান আব্দুল হালিম। তিনি বলেন, আলহামদুলিল্লাহ আপসোস নাই ভালো আছি। দীর্ঘ জীবনে যতটুকু সুখ উপভোগ করেছি তাতেই আমি তৃপ্ত।