স্টাফ রিপোর্টার:
চাঁদপুরের সদর উপজেলার শাহমাহমুদপুর ইউনিয়নের দাসের গাঁও-লোধের গাঁও দু গ্রামের এ সাঁকোটি যেনো মৃত্যুকূপ। দুই গ্রামের প্রায় ৬ হাজার বাসিন্দার দুর্ভোগের অন্যতম প্রধান কারণ এই সাঁকোটি। নির্বাচিত হওয়ার পর যুগ পার হলেও জনপ্রতিনিধিদের প্রতিশ্রুত সাঁকোটি কালভার্ট বা সেতুতে রূপ নিচ্ছে না। তাদের আশ্বাস আশ্বাসই থেকে যাচ্ছে। আবার জনপ্রতিনিধিরা কথা রাখতে না পারায় অসহায়ত্বতের কথা অকপটে স্বীকার করছেন।
দেশ এখন ডিজিটাল থেকে স্মার্ট হচ্ছে। কিন্তু পরিবর্তনের আশ্বাস পেয়েও পরিবর্তন হচ্ছে না শাহমাহমুদপুর ইউনিয়নের দাসের গাঁও-লোধের গাঁও দু গ্রামের এ সাঁকোটি। নির্বাচনের আগে প্রার্থীরা আশ্বাস দেন ক্ষমতায় আসলেই ব্রিজটি করা হবে। কিন্তু পরে প্রতিশ্রুতি ভুলে যান অভিযোগ করেন স্থানীয়রা। অথচ এ দু গ্রামে প্রায় ৬হাজার মানুষের বাস। বেশির ভাগ মানুষ সাঁকোটি ব্যবহার করে। এতে নিয়মিতই ঘটে ছোট বড় দুর্ঘটনা।
স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা বলছেন, নানান সময়ে বিভিন্নজন এসে প্রতিশ্রুতি দেয়, কিন্ত সাঁকোটি আর সেতু হয় না। উপায় না পেয়ে গ্রামের যুবসমাজ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা বরাবর দু বছর আগে আবেদন করে। ২০২০-২১ অর্থ বছরে সাঁকোটির স্থানে ব্রীজ করতে ত্রাণ ও দুর্যোগ অধিদপ্তরে পাঠানো প্রস্তাবিত তালিকায় নাম লেখানো হয়। একই তালিকার অন্য সেতুগুলো হলেও এই সাঁকোটিই দেখেনি আলোর মুখ। জনপ্রতিধিরাও অসহায়ত্বের কথা স্বীকার করেছেন স্থানীয় মেম্বার কবির হোসেন। তিনি বলেন, এমন কাজ ইউনিয়ন পরিষদ থেকে করা সম্ভব নয়।
সাঁকোটির উত্তর পাশে দাসের গাঁও দক্ষিণ পাশে লোধেরগাও গ্রাম। দু গ্রামের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সাঁকোটি তা জানে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাও রফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, সাঁকাটির স্থানে একটি সেতু নির্মাণের জন্য ২০২০ সালে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরে প্রস্তাব পাঠানো হয়। কিন্তু ১৫ মিটারের বেশি দৈর্ঘ্যের সেতু নির্মাণের এখতিয়ার না থাকায় সেটি আলোর মুখ দেখেনি। সংশ্লিষ্ট দপ্তর জনদুর্ভোগ লাঘবে সাঁকোটি যেন দ্রুত কালভার্ট বা ব্রীজে রূপ নেয় এমনটাই দাবি স্থানীয়দের।