দৈনিক শপথ রিপোর্ট:
আজ মহান বিজয় দিবস। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ বীরের আত্মত্যাগ ও দুই লাখের বেশি মা-বোনের সম্ভ্রমহানির মধ্য দিয়ে বিশ্ব মানচিত্রে উদিত হয়েছিল স্বাধীন বাংলাদেশ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে দীর্ঘ সংগ্রাম ও রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত এই স্বাধীনতা শত বাধা পেরিয়ে আজ ৫১ বছরে। স্বাধীনতার পর ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’ বলে উপহাস করা দেশটি আজ বিশ্বমঞ্চে এক বিস্ময়রূপে হাজির হয়েছে।
বিজয় দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণী দিয়েছেন। দিবস পালনে দেশে-বিদেশে নানা কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। ভোরে তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালনের সূত্রপাত করা হবে।
বিজয় দিবস উপলক্ষে রাজধানীসহ সারা দেশে সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি ভবনে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক, সড়কদ্বীপ ও মোড়ে আলোকসজ্জিত করা হয়েছে। মধ্যরাত থেকেই ঢাকার অলিগলিতে মাইকে বাজতে শোনা যায় বঙ্গবন্ধুর রেকর্ড করা ভাষণ ও মুক্তির গান। সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে লাল-সবুজে সেজেছে গোটা দেশ। রাজধানীসহ সারা দেশে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।
এদিকে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে নানান কর্মসূচি হাতে নিয়েছে চাঁদপুর জেলা প্রশাসন ও জেলা আ.লীগ। এদিন চাঁদপুর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে তোপধ্বনি ও অঙ্গীকার পাদদেশে পুষ্পস্তবক অর্পণ, সকাল সাড়ে ৮টায় চাঁদপুর স্টেডিয়ামে কুচকাওয়াজ ও বেলা ১২টায় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা প্রধান করা হবে। এছাড়াও সন্ধ্যা ৬টায় মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলার মঞ্চে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।
পাশাপাশি জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি ও অঙ্গীকার পাদদেশে পুষ্প মাল্য অর্পণ, জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে সকাল ৭ টায় আলোচনা সভা ও দোয়া এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা প্রদান করা হবে। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে অসহায় ও দুস্থদের মাঝে চিকিৎসা সহায়তার চেক প্রদান করা হবে। পরে বিকেলে (বাদ আসর) বঙ্গবন্ধু সহ দেশের সকল শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় বিভিন্ন মসজিদ, মন্দির ও গির্জায় বিশেষ দোয়ার আয়োজন করা হয়েছে।
জাতীয় পর্যায়ে বিজয় দিবসের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে, সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। এরপর মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীর নেতৃত্বে উপস্থিত বীরশ্রেষ্ঠ পরিবার, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও বীর মুক্তিযোদ্ধারা পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। ঢাকাস্থ বিদেশি কূটনীতিকবৃন্দ, মুক্তিযুদ্ধে মিত্রবাহিনীর সদস্য হিসেবে অংশগ্রহণকারী আমন্ত্রিত সদস্যরা এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের জনগণ পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন।
এছাড়া, সকাল সাড়ে ১০টায় জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে সম্মিলিত বাহিনীর বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজ এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রমভিত্তিক যান্ত্রিক বহর প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে। রাষ্ট্রপতি এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কুচকাওয়াজ পরিদর্শন ও সালাম গ্রহণ করবেন। প্রধানমন্ত্রীও এ কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন। দেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি বিজয় দিবস উপলক্ষে সকালে সাভার স্মৃতি সৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।