মোঃ রাছেল/সাগর আচার্য্য
আজ শনিবার হিন্দুধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব সরস্বতীপূজা। বিদ্যা ও ললিতকলার অধিষ্ঠাত্রী দেবী সরস্বতী। শ্বেতশুভ্রবসনা দেবীর এক হাতে বেদ, অন্য হাতে বীণা। তাঁকে ‘বীণাপাণি’ও বলা হয়। শুভ্র রাজহংস দেবীর বাহন।
বরাবরই দেবীর কৃপালাভের আশায় সারাদেশের ন্যায় চাঁদপুরের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এবং পাড়া মহল্লায় সাড়ম্বরে এ পূজার আয়োজন করা হয়। এবারও তাই হবে। দেবীপদে অঞ্জলি দেওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন মন্ডপে দেবীর সামনে শিশুদের বিদ্যাচর্চার সূচনা হবে ‘হাতেখড়ি’ দিয়ে। কোনো কোনো মন্ডপে হবে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
চাঁদপুর জেলার প্রধান আকর্ষণ হলো শহরের বিভিন্ন পাড়া মহল্লায় আয়োজিত সরস্বতীপূজা। বরাবরের মতোই এবারও মন্ডপগুলোর জন্য বিশালাকার দেবীপ্রতিমা তৈরি করা হয়েছে। যার মধ্যে কালিবাড়ি মন্দির, গোপাল আখড়া ও পুরান বাজার হরিসভা মন্দিরে। এছাড়াও প্রতিটি মন্ডপে থাকবে দেবীবন্দনার পৃথক আয়োজন পর্ব। আজ ভোর হতেই বিদ্যাদেবীর বন্দনায় চাঁদপুর জেলায় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জড়ো হবে হাজারো শিক্ষার্থী। ঢাকঢোলের বাদ্য, শঙ্খ ও উলুধ্বনিতে মুখর হয়ে উঠবে প্রতিটি পূজা মন্ডপ।
গতকাল শুক্রবার বিকেলে চাঁদপুর শহরের বিভিন্ন মন্ডপ ঘুরে বিশাল কর্মযজ্ঞ চলতে দেখা গেছে। নানা বর্ণিল থিম আর উপাদানে তৈরি এই মÐপগুলোর কোনোটি পূজার আয়োজক নিজেরাই তৈরি করছেন, কোনোটি আবার পেশাদার কারিগর দিয়ে তৈরি করছেন। শহরজুড়ে ছিল উৎসবমুখর পরিবেশ।
এদিকে এ বছর বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধি পাওয়ায় চাঁদপুরের পূজা মন্ডপগুলোতে পূজা উদযাপন পরিষদের পক্ষ থেকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। রাত ৯ টার পর কোনো দর্শনার্থী পূজা প্যান্ডেলে সমবেত হওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। তাছাড়া প্রতিটি প্যান্ডেলে হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা রাখতে হবে। সরস্বতী পূজা উপলক্ষে সকালে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে অঞ্জলী প্রদান করা হবে। পূজার পরদিন আনন্দ শোভা যাত্রা না করার জন্য নির্দেশ দিয়েছে চাঁদপুর জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ।