মোঃ রাছেল:
কচুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের তারিখ ঘোষণাকে ঘিরে আজ সোমবার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা। এ সভা কেন্দ্র করে নেতা-কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক তোড়জোড় এবং উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। নিজেদের ছবির সঙ্গে এমপি, কেন্দ্রীয় নেতার ছবি দিয়ে ব্যানার, বিলর্বোড ও তোরণ নির্মাণ করছেন ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে দলীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদপ্রত্যাশীরা। বাইপাস সড়ক হতে দলীয় কার্যালয়ে পর্যন্ত ছেয়ে গেছে ব্যানার আর পোস্টারে। উক্ত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও উপদেষ্টা মন্ডলীর অন্যতম সদস্য ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর এমপি। বিশেষ অতিথি হিসেবে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ, কচুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আইয়ুব পাটওয়ারীর সভাপতিত্বে চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাছির উদ্দীন আহম্মেদ উদ্বোধক হিসেবে এবং জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল, প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সূত্রে জানা যায়, কচুয়া উপজেলায় ২০১৩ সালের ২৬ জানুয়ারী সর্বশেষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সেই সম্মেলনে আইয়ুব আলী পাটওয়ারীকে সভাপতি ও সোহরাব হোসেন সোহাগ চৌধুরী সাধারণ সম্পাদক পদে ভোটে নির্বাচিত হন। এরই মধ্যে উপজেলা আওয়ামী লীগ তিনটি অংশে বিভক্ত হয়েছে। একটি হলো উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য স্থানীয় সাংসদ ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর সমর্থিত অংশ, অপরটি কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ সমর্থিত অংশ, আরেকটি এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো. গোলাম হোসেনের সমর্থিত অংশ। সম্মেলনকে ঘিরে দু’বছর ধরে গ্রæপিং লবিং ও দৌড়-ঝাঁপক চলছে। সম্মেলনের তারিখ ঘোষণাকে সামনে রেখে কেন্দ্রীয় নেতাদের দৃষ্টিতে আসার জন্য সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদ-প্রাপ্তির আশায় পৌর শহরের আনাচে কানাচে ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন প্রার্থী ও তার সমর্থকরা।
এদিকে সভাপতি পদ প্রার্থীর তালিকায় রয়েছেন, বর্তমান সভাপতি আইয়ুব আলী পাটওয়ারী, উপজেলা চেয়ারম্যান শাহজাহান শিশির, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আকতার হোসেন সোহেল ভূঁইয়া, আওয়ামী লীগ নেতা ফয়েজ আহম্মেদ স্বপন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হুমায়ুন কবির প্রধান।
সাধারণ সম্পাদকের পদ-প্রত্যাশীদের তালিকায় রয়েছেন, বর্তমান উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সোহবার হোসেন সোহাগ চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামী লীগের ক্রীড়া সম্পাদক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম লালু, উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাড. হেলাল উদ্দিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর জব্বার বাহার, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য ইমাম হোসেন মেহেদী।
বর্ধিত সভা প্রসঙ্গে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সোহবার হোসেন সোহাগ চৌধুরী বলেন, আওয়ামী লীগ একটি বৃহৎ দল। এত বড় একটি দলে গ্রæপিং লবিং থাকতেই পারে। তবে ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর এমপি, কেন্দ্রীয় নেতা ও জেলা নেতৃবৃন্দের সামনে কেউ সেটা প্রকাশ করার দুঃসাহস দেখাবে না বলে তিনি প্রত্যাশা করেছেন। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আইয়ুব আলী পাটওয়ারী জানান, বর্ধিত সভা ঘিরে এরই মধ্যে সকল কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। কেন্দ্রীয় ও জেলা নেতাদের দাওয়াত ও অপ্যায়নের সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।