নজরুল ইসলাম আতিক:
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি বলেছেন, ৮ মাস দেরিতে শুরু হওয়ায় এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় যে সময় দেরি হয়েছে তা আগামী বছর সমন্বয় করা হবে। এতে দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই। গতকাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় চাঁদপুর হাসান আলী উচ্চ বিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, বিশ্বে যখন একটি অতিমারি চলছে। যেই অতিমারির কারণে মানুষের জীবন-জীবিকা সবকিছু থমকে গেছে তার মধ্যে আমরা যে এই পাবলিক পরীক্ষাগুলো নিতে পারছি সে জন্য সৃষ্টিকর্তার কাছে শুকরিয়া আদায় করছি এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। তিনি দেশের এই করোনা পরিস্থিতিকে যেভাবে সামাল দিয়েছেন। আমি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়সহ সকলকে তারা যেভাবে এই কারণে পরিস্থিতি মোকাবেলা করেছে তার জন্য ধন্যবাদ জানাই।
মন্ত্রী আরো বলেন, এখন পরীক্ষা দিতে যত সময় দেরি হয়েছে তা পরবর্তীতে আমরা সমন্বয় করব। কারো অসুবিধা হবে না ইনশাআল্লাহ। আগামী বছরের যে পরীক্ষাগুলো তা একেবারে যথাসময়ে নেয়ার কোনো সুযোগ নেই। তবে এ বছরের মতো এতো দেরি হবে না বলেও জানান তিনি।
পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে চাঁদপুর আল আমিন স্কুল এন্ড কলেজে ১২ থেকে ১৮ পর্যন্ত বছরের শিক্ষার্থীদের করোনার টিকা প্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি। উদ্বোধনকালে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সারাদেশে একযোগে শিক্ষার্থীদের ভ্যাকসিন দেওয়া সম্ভব না হলেও পর্যায়ক্রমে দেশের সকল শিক্ষার্থীকে ভ্যাকসিনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। কিছু টেকনিক্যাল বিষয়ের কারণে সারাদেশে একযোগে টিকা দেয়ার ব্যবস্থা করা সম্ভব নয়। তাই অল্প কয়েকটি জেলায় এখন শিক্ষার্থীদের টিকাদান কর্মসূচি শুরু করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, আমরা চেষ্টা করবো এখন যেই জেলাগুলোতে সম্ভব সেগুলোতে অন্তত যারা এইচএসসি পরীক্ষা দিবে তাদের অন্তত যাতে টিকা দিয়ে দিতে পারি। তাছাড়া বাকি জেলাগুলোতেও যত দ্রুত সম্ভব ব্যবস্থা করা।
তিনি বলেন, বিশ্বের অধিকাংশ দেশে যেখানে এখনো শিক্ষার্থীরা ও শিক্ষকরা টিকা পায়নি। সেখানে আমাদের দেশে ইতিমধ্যেই শিক্ষকরা পেয়েছেন এবং এখন শিক্ষার্থীরাও পাচ্ছেন। এজন্য আমি বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানাই ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে ধন্যবাদ জানাই।
তিনি বলেন, যেহেতু এসএসসি পরীক্ষা শুরু হয়ে গেছে তাই এসএসসি পরীক্ষার্থীদেরকে টিকার আওতায় নিয়ে আসা না গেলেও আমরা আশা করছি এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের অন্তত টিকার আওতায় নিয়ে আসার।
এসময় উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ, পুলিশ সুপার মোঃ মিলন মাহমুদ, জেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নুরুল ইসলাম নাজিম দেওয়ান, চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র মোঃ জিল্লুর রহমান জুয়েল, জেলা শিক্ষা অফিসার গিয়াসউদ্দিন পাটওয়ারী, চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সানজিদা শাহনাজ, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা কুমিল্লা অঞ্চলের উপ-পরিচালক রোকসানা ফেরদৌস মজুমদার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হেডকোয়ার্টার) মঈনুল হাসান, হাসান আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুলতানা ফেরদৌস, প্রেসক্লাবের সভাপতি ইকবাল হোসেন পাটোয়ারীসহ আরো অনেকে। প্রথম দিনে ৪শ শিক্ষার্থীকে টিকা প্রদানের জন্য রেজিস্ট্রেশন করা হয়।